প্রতীকী চিত্র।
তথাকথিত ‘লাভ জেহাদ’-এর অভিযোগ নয়। জয় হল ভালবাসারই। কেরলের জোইস্না মেরি জোসেফের সঙ্গে ডিওয়াইএফআই কর্মী শেজিনের বিয়েতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না কেরালা হাই কোর্ট। আজ এক রায়ে হাই কোর্ট স্পষ্ট জানাল, প্রাপ্তবয়স্ক তরুণী জোইস্নার নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁকে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে আদালত বাধ্য করতে পারে না।
গত কয়েক দিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন খ্রিস্টান পরিবারের জোইস্না ও মুসলিম পরিবারের শেজিন। জোইস্নার পরিবারের দাবি, তিনি ‘লাভ জেহাদ’-এর শিকার। হাই কোর্টে পেশ করা আবেদনে জোইস্নার বাবা জানান, তাঁর মেয়েকে বেআইনি ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। মেয়েকে সশরীরে হাজির করার আবেদন জানান তিনি।
শেজিন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী হওয়ায় বিতর্কে রাজনৈতিক রং লাগে দ্রুত। কোঝিকোড় জেলার সিপিএম নেতা জর্জ এম টমাস প্রথমে জোইস্নার বাবার অভিযোগকে সমর্থন করেন। পরে আবার বিবৃতি দিয়ে জানান তাঁর বক্তব্যকে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বিকৃত করেছে। পরে দলীয় বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘লাভ জেহাদ’ বিজেপি ও আরএসএসের তৈরি তত্ত্ব। বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন পাল্টা দাবি করেন, সিপিএম ‘লাভ জেহাদ’ নিয়ে দ্বিচারিতা করছে।
জোইস্নার বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে জোইস্নার বক্তব্য জানতে চান বিচারপতিরা। আজ হাই কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, ‘‘২৬ বছরের তরুণী নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। তিনি সিদ্ধান্ত থেকে নড়তে রাজি নন। সেটা তাঁর ইচ্ছে। তিনি এখনই বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। আমরা কী ভাবে তাঁকে বাধ্য করতে পারি?’’ জোইস্নার বাবা স্থানীয় পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তাঁর অভিযোগের তদন্ত করানোরও আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সব আর্জিই খারিজ হয়েছে।
এর পরে জোইস্না এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি যাঁকে ভালবাসি তাকেই বিয়ে করেছি। সে কথা আদালতকে জানিয়েছি। আমরা দু’জনেই নিজের নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেব।’’ শেজিনের বক্তব্য, ‘‘জোইস্না খ্রিস্টান থাকতে চাইলে আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি তাতে হস্তক্ষেপ করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy