একটি পার্কে বসে তিন কিশোরীই বিষ খায়। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিক কথা দিয়েও দেখা করতে আসেনি। স্কুল পালিয়ে ১০০ কিলোমিটার দূরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল বছর ষোলোর এক কিশোরী। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল তার দুই বান্ধবীকে। তিন জনই অন্তরঙ্গ বন্ধু। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রেমিক দেখা করতে না এলে তিন জনই নিজেদের প্রাণ দিয়ে দেবে। সেই মতো বিষও কিনে নিয়ে গিয়েছিল তারা।
পার্কে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর যখন কিশোরী দেখে যে, তার প্রেমিকের কোনও পাত্তা নেই, তখন অভিমানে বিষের বোতল খুলে খেয়ে নেয় সে। দ্বিতীয় কিশোরীর বাড়িতে কোনও একটা বিষয় নিয়ে অশান্তি চলছিল। তার উপর অন্তরঙ্গ বন্ধুর এই কষ্ট সহ্য করতে পারেনি। ফলে সে-ও বিষ খায়। দুই বান্ধবীকে বিষ খেতে দেখে, তৃতীয় কিশোরীও বিষ খেয়ে নেয়। পার্কে বসেই তারা তিন জনে এক এক করে বিষ পান করে। স্থানীয়রা তাদের তিন জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পার্কে পড়ে থাকতে দেখেন। তার পরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় কিশোরীর চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন কিশোরী এক স্কুলে পড়ত। তাদের বাড়ি সেহোর জেলার আস্তা শহরে। তিন কিশোরীর মধ্যে এক জনের সঙ্গে একটি ছেলের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটির বাড়ি কিশোরীর বাড়ি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ইনদওরে। প্রেমিক ফোন করা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন তা জানতে তিন কিশোরীই স্কুল পালিয়ে শুক্রবার ইনদওর পৌঁছয়।
চিকিৎসাধীন কিশোরীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেমিকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করে কারণ জিজ্ঞাসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বান্ধবী। সঙ্গে এটাও স্থির করেছিল, যদি প্রেমিক দেখা করতে না আসে, তা হলে তিন জনই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবে। সেই মতো দেখা করতে যাওয়ার আগে বিষও কিনে নিয়ে যায় তারা।
ইনদওরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রশান্ত চৌবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “কেন আত্মহত্যা করল কিশোরীরা, সব দিক খতিয়ে দেখে তা জানার চেষ্টা চলছে। কিশোরীদের বাড়ির লোককে ইনদওরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy