Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Eknath Shinde

শিবসেনার নয়া প্রধান নির্বাচিত হলেন একনাথ শিন্ডে, ঠাকরে পরিবারের  বাইরে প্রথম ‘পক্ষ প্রমুখ’

শিন্ডে নির্বাচিত হওয়ার পরেই শিবসেনার তরফে সমস্ত দলীয় পদাধিকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন নয়া দলনেতার নির্দেশ মেনে চলেন।

সভায় সর্বসম্মত ভাবে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন শিন্ডে।

সভায় সর্বসম্মত ভাবে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন শিন্ডে। — ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:২১
Share: Save:

উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রিত্ব দখল করেছিলেন ৮ মাস আগেই। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ‘শিবসেনা’ নাম এবং দলের নির্বাচনী প্রতীক তির-ধনুক ব্যবহারের অধিকার পেয়ে গিয়েছিলেন। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত দলের ‘পক্ষ প্রমুখ’ (মুখ্য নেতা) পদ পেলেন একনাথ শিন্ডে।

মঙ্গলবার মুম্বইয়ে শিবসেনা সাংসদ, বিধায়ক এবং দলীর পদাধিকারীদের সভায় সর্বসম্মত ভাবে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন শিন্ডে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত দলীয় সংবিধান মেনে পরিচালন পরিষদের বৈঠক ডেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘পক্ষ প্রমুখ’ নির্বাচনের পালা সম্পন্ন হবে। দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে মঙ্গলবার জানান, মরাঠীদের জন্য রাজ্যের চাকরির ৮০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হবে।

শিন্ডে নির্বাচিত হওয়ার পরেই শিবসেনার তরফে সমস্ত দলীয় পদাধিকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন নয়া দলনেতার নির্দেশ মেনে চলেন। উদ্ধব গোষ্ঠীকে চাপে ফেলতেই এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বছর শিবসেনায় ভাঙনের পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধবকে সরিয়ে সরকার গড়েছিলেন শিন্ডে। তবে বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা শিবসেনার নাম আর তির-ধনুক প্রতীকের উপরে অধিকার ছাড়তে চায়নি কেউই।

এর পর বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। সেই বিষয়েই শুক্রবার সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং অন্য দিকে বিপদসঙ্কেত বলে মনে করছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি। অন্য দিকে, কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শিবসেনার বর্তমান দলীয় সংবিধান অগণতান্ত্রিক।

ষাটের দশকে হিন্দুত্ববাদী আদর্শ ও মরাঠি অধিকার রক্ষায় শিবসেনার প্রতিষ্ঠা করেন বালাসাহেব। কমিশনের চাপে ১৯৯৯ সালে বালাসাহেব দলীয় সংবিধানে কিছু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি যোগ করেছিলেন। ২০১৮ সালে শিবসেনা তাদের দলীয় সংবিধান ফের সংশোধন করে। কিন্তু তা ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, নয়া সংশোধনীতে গণতান্ত্রিক নিয়মগুলি বাতিল করায় দলটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থার মতো হয়ে উঠেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Eknath Shinde Shivsena
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE