E-Paper

বিধানসভার আগে বেশি বেড়েছিল ভোটার: কমিশন

গত বছর মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করে কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে এনডিএ। তার পর থেকেই ওই রাজ্যের ভোটে নির্বাচন কমিশনের মদতে কারচুপি হয়েছে বলে সরব হন রাহুল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ০৭:৪৯
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্রে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় ছ’মাস পরে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক বেশি ভোটাদাতার নাম ভোটার তালিকায় যোগ হয়েছিল বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছিলেন তা আজ কার্যত মেনে নিল মহারাষ্ট্র নির্বাচন কমিশন।

গত বছর মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করে কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ। কিন্তু সব হিসাব পাল্টে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে এনডিএ। তার পর থেকেই ওই রাজ্যের ভোটে নির্বাচন কমিশনের মদতে কারচুপি হয়েছে বলে সরব হন রাহুল। সম্প্রতি সংবামাধ্যমে লেখা একটি প্রবন্ধে তিনি দাবি করেন, ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় ৩১ লক্ষ নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে লোকসভা ভোটের ছ’মাস পরে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন আরও ৪১ লক্ষ ভোটার রাজ্যের ভোটার তালিকায় যুক্ত হন। রাহুলের দাবি ছিল, এঁদের একটি বড় অংশই হলেন ভুয়ো ভোটার। যাতে পিছন থেকে মদত ছিল কমিশনের।

আজ রাজ্যের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ২০১৯ সালের বিধানসভা ও পাঁচ বছর পরে হওয়া লোকসভা নির্বাচন, এই সময়ে ৩২ লক্ষের কাছাকাছি নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা ও সেই বছর হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের মাঝের ওই ছ’মাস সময়ে অন্তত ২৬ লক্ষই হলেন নতুন ভোটার। রাহুল এই তালিকায় নাম জোড়া ও বাদ দেওয়ার পিছনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার যে অভিযোগ করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্র নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও ভূমিকা থাকে না। তালিকা সংশোধনের সময়ে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কমিশনের মতে, ভোটের এত দিন বাদে নতুন করে অভিযোগ তোলা ভিত্তিহীন।

কমিশন জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের আনুমানিক জনসংখ্যার পরিমাণ রাশিবিজ্ঞানের উপরে নির্ভরশীল। যা সম্ভাব্য জনসংখ্যাকে গণনা করে থাকে। যার উপরে ভিত্তি করে কোনও যোগ্য ভোটারের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বা বাদ দেওয়া যায় না। তাতে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গেই রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও থাকেন। ফলে তালিকায় কারচুপির সম্ভাবনা খারিজ করে কমিশন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rahul Gandhi Maharashtra Assembly Election Voter Lists Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy