ভারতের রাস্তাঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন অনেকদিনের। তার উপর দিন দিন বাড়ছে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। পথে ঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এক অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহিলারা কোনও রকম সমস্যায় পড়লে যাতে পুলিশকে খবর দিতে পারে, সে জন্য জিপিএস সম্বলিত গলার হার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী (গ্রামীণ) দীপক কেসারকার এ কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ধরনের হার পশ্চিমী দুনিয়ার অনেক দেশেই ব্যবহৃত হয়। পরের মাসে হারের প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি নিশ্চিত করে আমরা টেন্ডার ডাকব।’’
মহিলাদের সুরক্ষার জন্য তৈরি এই হারে থাকবে প্যানিক বোতাম। যা কাজ করবে জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও মহিলা বিপদে পড়ে প্যানিক বোতাম টিপলেই নিকটস্থ থানায় চলে যাবে অ্যালার্ট। তখন জিপিএস প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মনিটরিং রুম জেনে যাবে কোথায় ঘটেছে ঘটনাটি। এজন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আলাদা করে মনিটরিং রুমও তৈরি করবে সরকার।
আরও পড়ুন: ‘আমরাও তো হিন্দু, তাহলে কেন জায়গা নেই মোদীর ভারতে?’
উন্নত প্রযুক্তির এই হারের দামও সাধারণের নাগালের বাইরে হবে না। এক হাজার টাকার মধ্যেই এর দাম রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মহারাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই। এই প্রকল্পটিকে সরকার কতটা ভাল ভাবে পরিচালনা করতে পারে সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: ‘ভারত আমার পিতৃভূমি, পালাব না’, যোগীকে পাল্টা ওয়েইসির
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)