ভারতীয় যুদ্ধজাহাজের গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন ‘গুপ্তচর’ রবীন্দ্র বর্মা। মহারাষ্ট্রের ঠাণের ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী পরিবর্তে টাকাও পেয়েছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর থেকে। এমনটাই দাবি করা হল একটি রিপোর্টে।
পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার গ্রেফতারি সারা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে সম্প্রতি। সেই আবহে রবীন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)।
এটিএস সূত্রে দাবি, ২০২৪ সালে প্রীতি জয়সওয়াল নামে এক তরুণীর সঙ্গে সমাজমাধ্যমে পরিচয় হয় রবির। তার পর সেখান থেকে ফোন নম্বর আদানপ্রদান। হোয়াট্সঅ্যাপেও তাঁদের কথা হত। তদন্তকারীদের দাবি, রবি একটি বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থায় কাজ করতেন। সেখানে নৌবাহিনীর অনেক সামরিক সরঞ্জাম তৈরি হয়। রবিকে যৌনতার ফাঁদে ফেলে সেই সব তথ্য হাতিয়েছেন ওই তরুণী। পুলিশের দাবি, ওই তরুণী আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর। নাম ভাঁড়িয়ে রবিকে মধুচক্রের ফাঁদে ফেলেছিলেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে দাবি, পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের ১৪টি যুদ্ধজাহাজ এবং ডুবোজাহাজের গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিলেন রবি। তার মধ্যে পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের তথ্য সম্পূর্ণ সঠিক। এর জন্য আইএসআই তাঁকে টাকাও দিয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এটিএস আগেই জানিয়েছিল, ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত হোয়াট্সঅ্যাপে বেশ কিছু গোপন তথ্য পাকিস্তানি ‘বন্ধু’কে দিয়েছিলেন রবি। তাঁর সঙ্গে একবার দেখাও করেছিলেন। ভারতের বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকার তথ্যও রবি পাকিস্তানে পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।