ছবি: পিটিআই।
আসন্ন বাজেট অধিবেশনে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী রাজনীতি বা কক্ষ সমন্বয় করবে না তৃণমূল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বা এনআরসি নিয়ে যে বিরোধিতার পরিসর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন, তার লাগাম কংগ্রেসের হাতে তাঁরা দিতে নারাজ। তৃণমূলের এক নেতার বক্তব্য, বরং চেষ্টা করা হবে অন্যান্য বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এগোনোর। সেখানে যদি কংগ্রেস যোগ দিতে চায়, তা হলে অবশ্য আপত্তি করা হবে না। প্রকাশ্যে অবশ্য এই নিয়ে এখনই বিশদে কিছু বলতে চাইছে না তৃণমূল। রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, ‘‘সংসদীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে দলের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সাংসদেরা। সেখানেই সংসদীয় কৌশল স্থির হবে।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে সনিয়া গাঁধীর ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকের আগে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন এবং শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে কথা হয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। পাশাপাশি এসপি নেতা অখিলেশ যাদবও যোগাযোগ রেখে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের পাশাপাশি শিবসেনা, ডিএমকে এবং এসপি – তিনটি দলই ওই বিরোধী বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
তৃণমূল সূত্রের দাবি, মমতা যাবেন না শুনে এই দলগুলি কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানত দু’টি কারণে। প্রথমত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি-র মতো বিষয় নিয়ে সব আগে রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূল। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রথম থেকে এ পর্যন্ত মমতাই সবচেয়ে বেশি সরব। দ্বিতীয়ত, ডিএমকে এবং এসপি-র নেতাদের দাবি, দিল্লিতে সংসদীয় রাজনীতির প্রশ্নে কংগ্রেসের ‘বড়দাদা’ সুলভ আচরণে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন না আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার ছক মাওবাদীদের
২০১৬ সালে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে প্রথম রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। সে সময় কংগ্রেস প্রাথমিক ভাবে দ্বিধায় থাকার কারণে মমতার ডাকে সাড়া দেয়নি। কিন্তু এনডিএ-র শরিক হয়েও সঙ্গে ছিল শিবসেনা। এর পর শিবসেনার সঙ্গে নিয়মিত ভাবে যোগাযোগ রেখে গিয়েছে তৃণমূল। মমতা গত কয়েক বছরে দু’বার মুম্বই গিয়েছেন। সে সময় তিনি দেখা করেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। উদ্ধব-পুত্র আদিত্যর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy