এক ডোজেই রোগ ধরা পড়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। আঙুলে কালি লাগাতেই পাতলা হতে শুরু করে নোট বদলের লাইন। কমে ভিড়ও। কিন্তু এই কালি লাগানো নিয়েই নির্বাচন কমিশন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতবিরোধের চর্চায় দিনভর সরগরম রইল রাজধানী। যা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিতর্ক প্রথমে উস্কে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্ত। নোট বদলের সময়ে আঙুলে কালি লাগানোর ঘোষণা হতেই তিনি চিঠি লেখেন নির্বাচন কমিশনকে। তাতে সুনীলবাবু জানান, পশ্চিমবঙ্গে দু’টি সংসদীয় ও একটি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কে নোট বদলের সময় যদি কারুর হাতে কালি লাগানো হয় (যা অনেক দিন থেকে যায়) তাহলে সেই ব্যক্তি ভোট দেওয়ার সময়ে সংশয় হতে পারে ভোটকর্মীদের। এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা উচিত কমিশনের কাছে সেই পরামর্শ চেয়ে দরবার করেন সুনীলবাবু।
কমিশন সূত্রে খবর, তখনই জানিয়ে দেওয়া হয় যে ভোটের সময়ে ভোটদাতাদের বাঁ হাতের তর্জনীতে কালি লাগানো হয়ে থাকে। তার পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিকা জারি করে জানায়, টাকা ভাঙাতে আসা ব্যক্তিদের কেবলমাত্র ডান হাতের আঙুলেই কালি লাগাবেন ব্যাঙ্ককর্মীরা। তাহলেই বিভ্রান্তি ছড়াবে না। তবে যাঁর ডান হাতের একটিও আঙুল নেই, তাঁর বাঁ হাতে কালি লাগানো যাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার পরেও এ নিয়ে কমিশন ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মধ্যে মতবিরোধের জল্পনা ছড়ায় দিল্লির রাজনীতিকদের মধ্যে।
আজ অবশ্য কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে কোনও বিভ্রান্তিই নেই। এক কমিশন কর্তা জানিয়েছেন, আগামিকাল কিছু কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এরপরে রয়েছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নোট ভাঙানোর ঠেলায় যাতে ভোট প্রক্রিয়া কোনও ভাবে ব্যাহত না হয় সে জন্য আঙুলে কালি লাগানোর সময়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সরকারের কোনও কাজ নেই। কেবল নেল পালিশ লাগাচ্ছে। এমনকী ছেলেদের হাতেও রং লাগাচ্ছে। আমিই প্রথম বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম।’’