Advertisement
০১ মে ২০২৪

লক্ষ্য দেশের রাজধানী, দিল্লির কলেজে বলবেন মমতা

কলকাতার বিশাল জনসমাবেশের পর এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য দেশের রাজধানী।৩১ জুলাই তিনি দিল্লি আসছেন। পয়লা অগস্ট তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ। মমতা সেখানে বক্তব্য পেশ করবেন ছাত্রছাত্রীদের সামনে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

জয়ন্ত ঘোষাল
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৭
Share: Save:

কলকাতার বিশাল জনসমাবেশের পর এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য দেশের রাজধানী।

৩১ জুলাই তিনি দিল্লি আসছেন। পয়লা অগস্ট তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ। মমতা সেখানে বক্তব্য পেশ করবেন ছাত্রছাত্রীদের সামনে। বিষয়বস্তু হল, ভারত নামক ভাবনা। তিনি বোঝাবেন, নেহরু-গাঁধীর ভারতই প্রকৃত ভারত। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেই অভিজাত সেন্ট স্টিফেন্সের প্রাক্তন ছাত্র। নটবর সিংহ, মনিশঙ্কর আইয়ারের মতো বহু আমলারও কলেজ এটি।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীও জল মাপতে দিল্লির একটি বিজনেস স্কুলে এসে বক্তৃতা দেন ছাত্রছাত্রীদের সামনে। মোদীর মূল লক্ষ্য ছিল, গোধরা কলঙ্ক ঘোচানো। মমতা আসছেন, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ‘অপপ্রচার’-এর জবাব দিতে। রাজধানীর কোনও অভিজাত প্রতিষ্ঠানে এই প্রথম নিজের ভাবনা তুলে ধরবেন মমতা।

এই সফরে ৩১ জুলাই মমতা খ্রিস্টান সংগঠন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দিল্লির বিশপরা থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে। বর্তমান ভারতে সংখ্যালঘুরা যে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তার প্রেক্ষিতে এই সভাটি তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যসভার তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এই সফরের হোমওয়ার্ক করছেন বেশ কিছু দিন থেকে।

তৃণমূল নেত্রী ১ অগস্ট সংসদেও যাবেন। সেন্ট্রাল হলে তিনি আঞ্চলিক অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১৯ জানুয়ারি তিনি ব্রিগেডে যে জনসভা করছেন, সেখানে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন। শরদ পওয়ার থেকে অরবিন্দ কেজরীবাল, এমনকি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন। তবে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তাঁর এ বার পৃথক বৈঠক হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে সনিয়া এবং রাহুলকেও ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানাতে চান মমতা।

মোদী-বিরোধী মঞ্চে সবাইকেই শামিল করতে চাইছেন মমতা। সাম্প্রতিক অনাস্থা প্রস্তাবে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালেও মমতার বক্তব্য, এ ধরনের রণকৌশল রচনা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে করা হোক। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এ বার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বলেছিলেন, যাতে তৃণমূল অনাস্থা প্রস্তাব আনে। কংগ্রেস তাতে সমর্থন দেবে। মমতা এ প্রস্তাবে রাজি হননি। সংখ্যা যখন নেই আর লোকসভা নির্বাচন যখন সামনে, তখন এই অনাস্থা প্রস্তাবের কোনও মানে হয় না বলে মনে করেন তিনি।

কংগ্রেস সূত্র বলছে, রাহুল নিজেও এ বার মোদী-বিরোধী রাজনীতির রণকৌশল রচনায় মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যের বেশির ভাগই আজ বৈঠকে জোট রাজনীতির প্রশ্নে জোর দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE