আস্তাবল ময়দানের জনসভায় রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাব দিতে ২৪ ঘন্টা সময় নিলেন রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব! তার পর বোঝাতে চাইলেন, দিদির সেই ‘ডাকে’ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী কণ্ঠের অনুরণনটাই শুনতে পাচ্ছেন তাঁরা।
কীভাবে? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর তা আজ সবিস্তারে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘‘আগরতলায় সভা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ৯ অগস্ট দিনটাই বেছে নিলেন বুঝতে পারছেন না! ওই দিনেই বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আবার ওই দিনই জাপানে মার্কিন বাহিনী হাইড্রোজেন বোমা ফেলে!’’ বিজনবাবুর কথায়,“আসলে মমতা হলেন ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি ও স্বৈরাচারী শক্তি’র মিলন গ্রন্থি।” তাঁর কটাক্ষ,‘‘এ বার অলিম্পিকে যদি মিথ্যা বলার কোনও ইভেন্ট থাকত, মমতা মেডেল পেতে পারতেন। ত্রিপুরা সম্পর্কে না জেনে উনি মিথ্যার বেসাতি করে গিয়েছেন।’’
এর পরই বিজনবাবু ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল নেত্রী কী কী মিথ্যা বলেছেন। তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় রেল প্রকল্প শুরু করা থেকে উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে অসত্য বলেছেন তৃণমূলনেত্রী। তা ছাড়া ২ টাকা কেজি চাল ত্রিপুরার গরিব পরিবারদেরও সরবরাহ করা হয়। রাজ্যের ৩৭ লক্ষ্য মানুষের মধ্যে ২৫ লক্ষের বেশি মানুষ ২ টাকা কেজি দরে চাল পান। বনাধিকার আইন প্রয়োগ করে ১ লক্ষ ২৫,৫৪১ পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায়। বাম জমানায় রাজ্যে ২২টি সাধারণ কলেজ, ১০ বৃত্তিমূলক কলেজ, ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, দু’টি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে বলে বিজনবাবু দাবি করেন।
তবে সিপিএমের এই প্রতিক্রিয়া নিয়েও পাল্টা সমালোচনা করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় স্তরের এক নেতার কথায়,‘‘মমতার সভা নিয়ে যেভাবে মার্কিন ষড়যন্ত্র দেখছে সিপিএম, তাতেই স্পষ্ট ওঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। মান্ধাতার আমলে পড়ে রয়েছেন। সে কারণেই ত্রিপুরায় বদলের ডাক দিয়েছেন দিদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy