সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভিডিও তুলে সাসপেন্ড হওয়া আম আদমি পার্টির সাংসদ ভগবন্ত মানের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের মতে, মান যখন নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন তখন শাসক দল যেন স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে চরম কোনও নেতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেয়। আজ ভিডিও সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই যুক্তি তুলে ধরেন সাংসদ রত্না দে নাগ।
মানের শাস্তি কী হবে তা ঠিক করতে বিজেপি সাংসদ কিরীট সোমাইয়ার নেতৃত্বে একটি নয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। আজ ছিল ওই কমিটির প্রথম বৈঠক।
বৈঠকের আগে মানের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়ে সংসদে তৃণমূলের দলীয় দফতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসে দেখা করেন আপের মুখপাত্র রাঘব চাড্ডা। দলীয় সূত্রে খবর, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দূতকে মমতা আশ্বস্ত করে বলেন কেন্দ্র-বিরোধী লড়াইয়ে তাঁর নতুন বন্ধু অরবিন্দ কেজরীবালের পাশেই তিনি রয়েছেন। তাই বৈঠকে মানের শাস্তির বিরুদ্ধে সুর চড়াবে তৃণমূল। সেই মতো দলের পক্ষ থেকে রত্না দে নাগকে শাসক শিবিরের কড়া মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। তৃণমূলের মতে, মান ভিডিও তুলেছেন ঠিকই, তবে তা শিক্ষাগত কারণে। কী ভাবে সংসদের কাজকর্ম হয় তা সাধারণ মানুষকে জানাতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর অন্য কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। সংসদে আসতে নিষেধ করে স্পিকার মানকে এক প্রস্ত শাস্তিও দিয়েছেন। তাই আর কোনও কঠোর পদক্ষপ না করাই ভাল।
মানের শাস্তির বিষয়টি নিয়ে অবশ্য বিজেপির মধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে। দলের একাংশের মতে, মানের সাংসদপদ কেড়ে নেওয়া উচিত। কিন্তু অরুণ জেটলির মতো শীর্ষ নেতাদের মতে, পঞ্জাবে নির্বাচনের আগে এমন কড়া পদক্ষেপ নিলে মান অহেতুক ‘নায়ক’ হয়ে যাবেন।
তবে মানের তোলা ভিডিওতে যে সংসদের নিরাপত্তা ব্যাহত হয়েছে তা মেনে নিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের জবাব পেতে দিল্লির পুলিশ কমিশনার অলোক বর্মাকে কমিটির আগামী বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy