প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফোন চুরি করেও রেহাই পেল না চোর। ফোনে থাকা একটি বিশেষ অ্যাপ বন্ধ না করার কারণে শেষমেশ ধরা পড়তে হল তাকে। চোরের কাছে থাকা চুরি হওয়া সেই অবস্থান চিহ্নিত হতেই তার পিছু ধাওয়া করে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে হাতেনাতে ধরেও ফেলা হল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর নাগেরকয়েলে।
নাগরকয়েল স্টেশন থেকে কাচেগুড়া এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন এক প্রৌঢ়। যাচ্ছিলেন ত্রিচি। ট্রেনে যথেষ্ট ভিড়ও ছিল। আর সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়েই প্রৌঢ়ের হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তিরুনেলভেলি জংশনে নেমে পড়ে চোর। ওই ব্যাগের ভিতরেই ছিল প্রৌঢ়ের ফোন এবং কিছু নথিপত্র। ব্যাগ খুইয়ে দিশাহারা অবস্থা হয় তাঁর। প্রৌঢ় তখন তাঁর এক সঙ্গীর ফোন থেকে পুত্রকে গোটা বিষয়টি জানান।
তার পরই শুরু হয় চোর ধরার অভিযান। প্রৌঢ়ের পুত্র রাজ ভগত পি বাবার কাছ থেকে ফোন পেয়েই চোর ধরার কাজে লেগে পড়েন। তিনি বলেন, “বাবা যখন বুঝতে পেরেছিল তার ব্যাগ চুরি হয়ে গিয়েছে, বন্ধুর মোবাইল থেকে ভোর ৪টে নাগাদ ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানায়। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সকলের ফোনে গুগলের ‘লোকেশন শেয়ারিং’ ফিচার চালু করা ছিল। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই চোরের অবস্থান চিহ্নিত করতে পারি।”
রাজ আরও জানিয়েছেন, তিরুনেলভেলির মেলাপায়ালমে চোরের অবস্থান দেখাচ্ছিল। তার পর সেটি আবার নাগেরকয়েলের দিকেই আসছিল। চোর ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি যে, ফোনের ‘লোকেশন ট্র্যাকার’ চালু করা আছে। আর গুগলের সেই অ্যাপের মাধ্যমে তার উপর নজরদারি চালাচ্ছে। রাজ বলেন, “তিরুনেলভেলি থেকে আবার একটি ট্রেনে চেপে চোর নাগেরকয়েল স্টেশনে নামে। আমরা সেখানে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ভিড় থাকায় তাকে চিহ্নিত করতে পারছিলাম না। কিন্তু গুগল ট্র্যাকার জানান দিচ্ছিল কাছাকাছিই রয়েছে চোর। সেই ট্র্যাকার ধরেই চোরের পিছু নিয়েছিলাম।” চোর যখন নাগেরকয়েল বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠতে যাচ্ছিল, সেই সময় বাবার চুরি যাওয়া ব্যাগটি লক্ষ করেন রাজ। তাতে একটি শর্মিক ইউনিয়নের লোগো আঁকা ছিল। চোর বাসে উঠতেই তাকে ধরে ফেলেন রাজ এবং তাঁর বন্ধু। যাত্রীরাও তাঁদের সাহায্য করেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে চোরকে ধরে নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy