Advertisement
০২ মে ২০২৪
Delhi High Court

শ্বশুরবাড়ির পদবি ব্যবহার না করতে চাইলে স্বামীর অনুমতি লাগবে? হাই কোর্টে মহিলা

বিয়ের পর স্বামীর পদবি গ্রহণ করেছিলেন মহিলা। বর্তমানে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পথে। তাই নিজের নাম থেকে ওই পদবি ছেঁটে ফেলতে চান। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তি।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ১২:৩০
Share: Save:

বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির পদবি গ্রহণ করেছিলেন। নিজের পদবির পাশে জুড়েছিলেন নতুন পদবিটি। বিচ্ছেদের সময়ে স্বামীর সেই পদবি ছেঁটে ফেলতে গিয়ে বাধার মুখে মহিলা। অভিযোগ, তাঁকে পদবি সরানোর জন্য স্বামীর অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। সরকার থেকে তাঁর কাছে যে চিঠি গিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, স্বামীর অনুমতির নথি না থাকলে বিচ্ছেদের উপযুক্ত নথি দেখিয়েও পদবি পরিবর্তন করতে পারবেন তিনি। এতেই আপত্তি তুলে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা।

আবেদনকারী মহিলার নাম দিব্যা মোদী। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর তিনি নিজের নামের সঙ্গে স্বামীর পদবি যুক্ত করেছিলেন। তাঁর নাম হয়েছিল দিব্যা মোদী টোঙ্গা। কিন্তু বর্তমানে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পথে। আদালতে সেই মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিচ্ছিন্ন স্বামীর পদবি আর বয়ে বেড়াতে চান না দিব্যা। কিন্তু পদবি পরিবর্তনের জন্য আবেদন জানানোর পর তাঁর কাছে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পদবি পরিবর্তনের জন্য নথি দেখাতে হবে মহিলাকে। হয় স্বামীর অনুমতিপত্র বা এনওসি ( নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থাৎ, স্ত্রী পদবি পরিবর্তন করলে স্বামীর আপত্তি নেই) লাগবে। নয়তো ওই মহিলাকে বিবাহবিচ্ছেদের নথি দেখাতে হবে। যে হেতু, বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয়নি, তাই ওই নথি দেখাতে পারবেন না দিব্যা। সে ক্ষেত্রে তাঁকে নাম পরিবর্তনের জন্য বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

দিল্লি হাই কোর্টে নিজের আবেদনে দিব্যা জানিয়েছেন, সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তি তাঁর সংবিধানস্বীকৃত ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। প্রথম পদবিতে ফেরার অধিকার তাঁর রয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলাকারী। সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে তিনি সংবিধানের ১৪, ১৯ (১) (এ) এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন। এতে নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ, তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে।

মহিলা দাবি করেছেন, সংবিধানে সমস্ত নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নিজের নাম বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তির কারণে তাঁর সেই মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রক। দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিংহ অরোরার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করেছে। আগামী ২৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi High Court Surname Divorce
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE