Advertisement
E-Paper

‘মায়ার খেলা’য় মাঠে নেমেছে সব পক্ষই

মায়াবতীর কথায় ‘‘তেলের দাম বাড়ানো ঠেকাতে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই ব্যর্থ। আর মোদী সরকারের মধ্যবিত্তদের প্রতি সহমর্মিতাই নেই। মোদী তাঁর শিল্পপতি বন্ধুদের চটাতে চান না বলেই আজ তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।’’   

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৭
লোকসভা ভোটের মুখে ফের ময়দানে মায়াবতী। —ফাইল ছবি

লোকসভা ভোটের মুখে ফের ময়দানে মায়াবতী। —ফাইল ছবি

প্রথম বার ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দলিত নেত্রী মায়াবতী বিজেপি এবং কংগ্রেসকে যথাক্রমে ‘নাগনাথ’ ও ‘সর্পনাথ’ বলে প্রচার করে ভোটে গিয়েছিলেন!

লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দুই প্রধান জাতীয় দলের সঙ্গে মায়ার সেই খেলা ফের শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে রাজধানীর রাজনৈতিক শিবির। অর্থাৎ, হাতের তাস শেষ পর্যন্ত আড়ালে রেখে সেরা সুবিধা আদায় করতে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ের সঙ্গেই দর কষাকষি চালিয়ে যাওয়া। গত কাল পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী সমাবেশে ছিলেন না মায়াবতী। আজ লখনউ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, ইউপিএ জমানার মতো জনবিরোধী পথেই হাঁটছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাঁর কথায় ‘‘তেলের দাম বাড়ানো ঠেকাতে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই ব্যর্থ। আর মোদী সরকারের মধ্যবিত্তদের প্রতি সহমর্মিতাই নেই। মোদী তাঁর শিল্পপতি বন্ধুদের চটাতে চান না বলেই আজ তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।’’

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, ২০১৯-এর ভোটের আগে যথেষ্ট সময় রয়েছে মায়াবতীর হাতে। তিনি তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। তা ছাড়া মায়ার উপরেও রয়েছে শাসক দলের চাপ। ফলে কোনও বিশেষ দিকে ঝোঁকার ক্ষেত্রে তিনি সমস্ত দিক বিবেচনা করেই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিকে, উত্তরপ্রদেশে এসপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে যাতে মায়াবতী জোট গড়তে না পারেন, সে জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অমিত শাহ ও তাঁর দলবল। দলিত নেত্রীকে নিজেদের সঙ্গেই রাখতে চায় বিজেপি। সে জন্য চলছে ভয় দেখানো (পুরনো দুর্নীতির মামলায় সিবিআই জুজু)। রয়েছে পুরস্কারের টোপও (কাঁসিরামকে ভারতরত্ন দেওয়ার কথা)। উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনগুলিতে জয়ের স্বাদ পাওয়া বিরোধীরাও (এসপি, কংগ্রেস, আরএলডি) প্রাণপণ চেষ্টা করেছে মায়াকে পাশে রাখার। এসপি-প্রধান অখিলেশ সিংহ যাদব তো ঘোষণা করেই বসে আছেন যে— মায়াবতীকে পেতে আর বিজেপি-কে হারানোর জন্য রাজ্যে নিজেদের কিছু আসন ছাড়তে রাজি তিনি। মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতীর দল বিএসপি-কে সঙ্গে নিয়ে লড়তে চাইছেন রাহুল গাঁধীও।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত মায়ার মন কে পাবেন, তা স্পষ্ট নয়। বিএসপি নেত্রী জানেন যে তাঁর দলিত ভোটব্যাঙ্ক আগামী বছরের লোকসভা ভোটে অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হবে উত্তরপ্রদেশে। আর তাই প্রকাশ্যে দু’টি জাতীয় দলের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন মায়াবতী— এমনটাই জোর জল্পনা।

Mayawati Loksabha Election 2019 Congress BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy