Advertisement
E-Paper

কবে থেকে প্রচারে প্রিয়ঙ্কা, প্রশ্ন রেখেই ইতি কংগ্রেসের বৈঠকে

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা নিজে কবে থেকে প্রচার শুরু করবেন, তা নিয়ে এক বিন্দুও আলোচনা হল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৬ ২১:০২

মাঠে নেমে লড়াই কবে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। দলের বৈঠকে প্রিয়ঙ্কাকে নামিয়েই আপাতত ক্ষান্ত হল কংগ্রেস।

রাহুল গাঁধীর অনুপস্থিতিতে সোমবারই প্রথম উত্তরপ্রদেশের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করলেন প্রিয়ঙ্কা। দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার-রুমের এই বৈঠকে তিনিই ছিলেন মধ্যমণী। এই বৈঠকে স্থির হল, দীপাবলির পর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে দলের প্রচার কৌশল কী হবে। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা নিজে কবে থেকে প্রচার শুরু করবেন, তা নিয়ে এক বিন্দুও আলোচনা হল না। দলের নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, রাহুলের অনুপস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থেকেই প্রিয়ঙ্কার অভিষেক হয়ে গেল। এ বারে তাঁর প্রচার শুরুও শুধু সময়ের অপেক্ষা।

এই কথাটি কিন্তু একাবেরেই নতুন নয়। কংগ্রেস নেতারা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা চাইছিলেন, ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যুদিনে ইলাহাবাদে বড়সড় সভা করে প্রিয়ঙ্কার অভিষেক ঘটুক। দলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও তাই চাইছিলেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কাকে মাঠে নামানোর পিছনে দল এখনও দ্বিধাবিভক্ত। তার কারণ, প্রথমে ভাবা হয়েছিল রাহুল গাঁধীর এক মাসের যাত্রার পর তাঁর রাজনৈতিক উচ্চতা এতটাই বাড়বে, যে তারপর প্রিয়ঙ্কার প্রচারে ঢাকা পড়বেন না কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। কিন্তু তা তো হয়নি, উল্টে ‘রক্তের দালালি’ মন্তব্য করে ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে। দুই, বিজেপিও ওত পেতে আছে প্রিয়ঙ্কার প্রচারে নামার জন্য। একবার তিনি মাঠে নামলেই রবার্ট বঢরার ইস্যু নিয়ে মাতামাতি শুরু করবে বিজেপি। সেই আশঙ্কাও এখন ভাবাচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে।

এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকা উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মুখ শীলা দীক্ষিত বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা প্রচারে নামলেই সেটি আরও জোর পাবে। কিন্তু কবে তিনি প্রচার শুরু করবেন, সেটি এখনও স্থির হয়নি।’’ দলের এক সূত্রের মতে, প্রিয়ঙ্কা একবার গোটা উত্তরপ্রদেশে প্রচার শুরু করলে, তাঁকেই দলের সভাপতি করার দাবি উঠতে পারে। দলের সেই সাধারণ কর্মীদের আবেগকে রুখতে তার আগেই রাহুলকে সভাপতি পদে বসানো হবে কি না, সেটিও এখন বিবেচনার বিষয় সনিয়া গাঁধীর। দলের মুখপাত্র আর পি এন সিংহ বলেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সকলের আবেগ আছে, এটি জানা। এ যাবৎ তিনি অমেঠী ও রায়বরেলীতে প্রচার করে এসেছেন। এর বাইরে কবে প্রচার করবেন, সেটি তাঁর উপরেই ছাড়া হয়েছে।’’

অথচ, এই প্রিয়ঙ্কার অভিষেকের সম্ভাব্য তিনটি দিনক্ষণ আগে থেকেই স্থির করে ফেলেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। ৩১ অক্টোবরের পর আরও দু’টি দিনও দলের মাথায় আছে। ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা গাঁধীর জন্মদিন। আর ৯ ডিসেম্বর সনিয়া গাঁধীর জন্মদিন। প্রিয়ঙ্কার জন্য দেড়শোটি ছোট-বড় সভাও স্থির হয়ে আছে। কিন্তু কবে তিনি নামবেন, সেটিই এখনও স্থির হল না। তবে আজকের বৈঠকে প্রিয়ঙ্কার হাজিরা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোনও পদে না থেকেও প্রিয়ঙ্কা কী করে দলের সংগঠনের কাজে নাক গলাতে পারেন? শুধুমাত্র সনিয়া গাঁধীর মেয়ে হিসাবেই? জবাবে দলের নেতা আর পি এন সিংহের বক্তব্য, ‘‘এতদিন ধরে তো গোটা সংবাদমাধ্যমই প্রশ্ন তুলছে, প্রিয়ঙ্কা কেন নেই? দলের নেতারাও দাবি তুলছেন তাঁকে দিয়ে প্রচার করানো হোক। আজ তিনি বৈঠক করছেন, তা নিয়ে এত হল্লা কেন?’’

National Politics Congress Priyanka Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy