দলের পুরসদস্যদের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী হল করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস। পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধানের চেয়ারের দুই দাবিদারের পাশাপাশি ১৩ জন পুরসদস্যকে নিয়ে বৈঠক করলেন জেলা কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থও।
কংগ্রেস-শাসিত করিমগঞ্জ পুরসভায় নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছিল। কংগ্রেসের ১৩ জন পুরসদস্য পুরপ্রধান শিখা সূত্রধরকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। দলীয় পুরসদস্য রীতা দাসের পক্ষে লিখিত ভাবে সমর্থনের কথাও জানান। অন্য দিকে যিশুকৃষ্ণ রায় উপ-পুরপ্রধান বদলের দাবি করেন।
অসমে সরকার পরিবর্তনের পর করিমগঞ্জে কংগ্রেসের বিবাদ কার্যত প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের অনেক পুরসদস্য জানিয়ে দেন— পুরপ্রধান পরিবর্তন করা না হলে তাঁরা বিকল্প পথে এগোতে বাধ্য হবেন। তাতে দলীয় নেতৃত্ব খানিকটা চাপে পড়েন।
পুরসদস্যদের বিরোধ মেটাতে এ দিন ইন্দিরা ভবনে বৈঠকে করেন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ-সহ জেলা কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। ওই বৈঠকে অনেক সদস্যই পুরনেত্রী শিখা সূত্রধরের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কংগ্রেসের পুরবোর্ড বাঁচিয়ে
রাখার স্বার্থে পুরপ্রধান শিখা সূত্রধর এবং উপ-পুরপ্রধান পার্থসারথি দাসকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ঠিক হয়, পুরসভার আয়-ব্যয়ের বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে ওই কমিটিই। পরে দলের অন্য ১৩ জন সদস্যের মতামত গ্রহণ করা হবে।
বোর্ডের বৈঠকের আগে কংগ্রেস জনপ্রতিনিধিরা বৈঠক করে বিভিন্ন প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। পরে পুরবোর্ডের সভায় তা পেশ করা হবে। তা না করে কোনও ভাবেই টাকা খরচ করা যাবে না বলে জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সভায় পুরপ্রধান উপস্থিত ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy