Advertisement
E-Paper

সোনমের গয়না, রাজের অস্ত্র লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেন এক ব্যবসায়ী! অভিযোগ প্রমাণ লোপাটেরও

রাজা খুনে ধৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম সিলম জেমস। মূলত জমি-বাড়ির ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাঁকে খোঁজা হচ্ছে জানতে পেরে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জেমস।

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৪:৪২
Meghalaya Honeymoon Murder

রাজ কুশওয়াহা এবং সোনম রঘুবংশী। —ফাইল চিত্র।

মধুচন্দ্রিমায় খুন কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ। ধৃতদের একজন ব্যবসায়ী। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের পর মেঘালয় থেকে পালিয়ে ইনদওরে ওই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেই গা-ঢাকা দেন সোনম রঘুবংশী। সেই ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত দু’জনকে জেরা করে মেঘালয় পুলিশ জানতে পেরেছে, সোনমের জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি প্রমাণ লোপাট করতেও সাহায্য করেন ওই দু’জন। তাঁরা কি সোনমের পরিচিত? কোনও ভাবে রাজা রঘুবংশী খুনের সঙ্গে জড়িত? চলছে তদন্ত।

রাজা খুনে ধৃত ওই ব্যবসায়ীর নাম সিলম জেমস। মূলত জমি-বাড়ির ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাঁকে খোঁজা হচ্ছে জানতে পেরে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জেমস। শনিবার ভোপালে পালানোর পথেই তাঁকে পাকড়াও করা হয়। ইনদওরের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) রাজেশ দন্দোটিয়া বলেন, ‘‘মহালক্ষ্মীনগর থেকে সিলম জেমস নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় পুলিশ। তাঁর এক সহযোগীকেও ধরা হয়েছে। দু’জনকেই রাজা হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে শিলঙে নিয়ে যাওয়া হবে।’’ এখনও পর্যন্ত রাজা হত্যাকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা সাত।

জেমসকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেঘালয়ে স্বামীকে খুনের পরে ইনদওরে পালিয়ে এলেও বাপের বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ি যাননি সোনম। তিনি ভাড়া নেন হীরাবাগ কলোনির একটি ফ্ল্যাট। ওই ফ্ল্যাটটির মালক জেমসের কাছে নিজের গয়নাগাটি, ল্যাপটপ এবং একটি অস্ত্র রেখেছিলেন সোনম। অস্ত্রটি সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার বলে মনে করা হচ্ছে। একটি বাক্সের মধ্যে সমস্ত জিনিস রাখেন ব্যবসায়ী। কিন্তু সোনমকে পুলিশ পাকড়াও করার পরে ওই বাক্সটি নষ্ট করে ফেলেছেন জেমস। জেরায় তিনি এমনটা জানালেও ওই নষ্ট করে দেওয়া ল্যাপটপ, গয়না এবং অস্ত্রের খোঁজে পুলিশ।

সোনম যে ফ্ল্যাটটিতে ছিলেন, মাসে তার ভাড়া ছিল ১৭ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের নিরাপত্তারক্ষী বলবীর অহিরওয়ারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোনম সম্পর্কে তিনি কী জানতেন, তাঁর মাধ্যমে কোনও প্রমাণ লোপাট হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রবিবার দু’জনকে ইনদওর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারকের নির্দেশে দু’জনকে সাত দিনের ট্রানজ়িট রিমান্ডে পেয়েছে মেঘালয় পুলিশ।

ঘটনাচক্রে, গত ১৩ জুন ওই ব্যবসায়ীই দাবি করেন, খুনের ঘটনায় ধৃত বিশালকে তিনি চেনেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীও যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িত ছিলেন, তখন সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। ইতিমধ্যে ইনদওরের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছে পুলিশ।

Murder Case Meghalaya Murder Case arrest SIT Indore
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy