পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম দেখে মেরেছে। আর ভারত কর্ম দেখে জঙ্গিদের মেরেছে। আসলে সন্ত্রাসবাদ নামক রোগের ওষুধ হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তাঁর মন্তব্যের এই অংশটুকুর ভিডিয়ো সন্ধ্যায় আলাদা করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
রাজনাথ বলেন, ‘‘জঙ্গিরা ভারতীয়দের ধর্ম দেখে মেরেছে। আমরা ওদের কর্ম দেখে মেরেছি। ওরা ধর্ম দেখে মেরেছে— এটা পাকিস্তানের কর্ম ছিল। আমরা কর্ম দেখে ওদের মেরেছি, এটাই আমাদের ভারতীয়দের ধর্ম।’’ ভিডিয়োর আরও একটি অংশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘রূঢ় হতে কেউ চায় না। কিন্তু রোগ যখন এসেছে, তার তিক্ত ওষুধ লাগে। মিষ্টি দিয়ে কোনও রোগের উপশম হয় না। সন্ত্রাসবাদ রোগের জন্য তাই অপারেশন সিঁদুরের মতো ওষুধ দরকার ছিল।’’
আরও পড়ুন:
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর রাজনাথ এই প্রথম কাশ্মীরে গেলেন। বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দেশটিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করে রাজনাথ বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে আমার প্রশ্ন, পাকিস্তানের হাতে কি পরমাণু অস্ত্র নিরাপদ? আমার মনে হয় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি) নজরদারির অধীনে রাখা উচিত।’’ রাজনাথের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে পাল্টা বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। তারা এই মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেছে। ইসলামাবাদের পাল্টা দাবি, ভারত থেকে পারমাণবিক এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ চুরি হয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা উল্লেখ করে ‘পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তার স্বার্থে’ তার তদন্ত চেয়েছে পাকিস্তান।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে মারা হয়েছে। সেই ঘটনায় প্রথম থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। ৬ মে রাতে শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এর পর পাকিস্তানও পাল্টা গোলাবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের সংঘাত চলে বেশ কয়েক দিন। গত শনিবার ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এখনও চাপানউতর রয়েছে।