পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্র রাখা নিরাপদ কি না, সেই প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে যান তিনি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর রাজনাথ এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন। ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের সদর দফতরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের কাছে আমার প্রশ্ন, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্বৃত্তপরায়ণ দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্র কি নিরাপদ?” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির নজরদারির আওতায় রাখা উচিত।” প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক কার্যকলাপের উপর নজরদারি চালিয়ে থাকে।
রাজনাথ জানান, ভারত পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের ‘ব্ল্যাকমেলিং’ সহ্য করবে না। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই সুরে বলেছিলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যখন পরমাণু হুমকি প্রতিহত করেছে, তখন আমাদের শত্রুরা বুঝে গিয়েছে ‘ভারত মাতা কি জয়’-এর অর্থ কী।”
সেনাবাহিনীর সাহসিকতারও ভূয়সী প্রশংসা
করেন রাজনাথ। সেনার উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আপনারা যা
করেছেন, তার জন্য গোটা দেশ গর্বিত।” বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বাদামিবাগ সেনাছাউনি
ঘুরে দেখেন রাজনাথ। এই সেনাছাউনিতেই ধেয়ে এসেছিল পাকিস্তানের গোলা। সেই গোলার অংশ
দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
গত ৭ মে গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে সামরিক অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে
‘স্যালুট’ জানাতে মঙ্গলবার পঞ্জাবের আদমপুরের বায়ুসেনাঘাঁটিতে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে
গিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। বৃহস্পতিবার সেই চড়া সুর বজায় রেখেছিলেন রাজনাথও। কাশ্মীরকে ভারতের মাথা বলে উল্লেখ করে
তিনি বলেন, “আমাদের মাথায় মেরেছিল, আমরা ওদের ছাতি
ফালাফালা করে দিয়েছি।” ইসলামাবাদের দাবি মোতাবেক, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও
আলোচনা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেন
রাজনাথ। বলেন, “কথা হবে সন্ত্রাসবাদ আর পাক অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে।”