Advertisement
E-Paper

শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগ মিসবাহুলের

লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জেরে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হচ্ছে। সরকার বদলালেই পাল্টে যাচ্ছে নীতিনিয়ম। তাতে সমস্যা পড়েন ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা—এমনই অভিমত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মিসবাহুল ইসলাম লস্করের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫৩

লাগাতার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জেরে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হচ্ছে। সরকার বদলালেই পাল্টে যাচ্ছে নীতিনিয়ম। তাতে সমস্যা পড়েন ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকরা—এমনই অভিমত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মিসবাহুল ইসলাম লস্করের।

‘ফোরাম ফর সোসাল হারমোনিস’ আয়োজিত গণকনভেনশনে তাঁর মতো সব বক্তাই শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। আইনজীবী মুজাম্মিল আলি লস্কর, সংস্কৃতিকর্মী বিশ্বজিৎ দাস, অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারক আনোয়ার উদ্দিন বড়লস্কর, শিক্ষাবিদ সুবীর কর অভিযোগ করেন, শিক্ষায় সঙ্কটের জেরে সমাজে সমস্যা বেড়ে চলেছে। সরকারি স্কুলগুলিতে অনেক শিক্ষক পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ডেস্ক-বেঞ্চের অভাব প্রায় সর্বত্র। কিছু কিছু স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ড ভাগ করে ক্লাস নেন শিক্ষকরা। উপযুক্ত নজরদারির জন্য প্রতিটি স্কুলে পরিচালন সমিতি গঠন করা হলেও এখন অনেক জায়গায় সমিতির সভাপতিরাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন। নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বত্র অব্যবস্থা বলে আক্ষেপ ব্যক্ত করেন কনভেনশনের সব বক্তা।

তবে এ সবের বিরুদ্ধে এখনই তাঁরা আন্দোলনের পক্ষপাতী নন। ফোরামের কর্তারা জানান, এক-দু’দিনের কর্মসূচিতে এই সমস্যার সমাধান হবে না। প্রয়োজন সচেতন গণআন্দোলন। এ কাজটাই তাঁরা করে চলছেন বলে দাবি করেন। জানান, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সমীক্ষা করছেন, এলাকার সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত কালের কনভেনশনকেও এরই অঙ্গ বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। শিক্ষায় অব্যবস্থার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সরব হন সকলে। উদ্বেগ ব্যক্ত করেন এনআরসি নিয়েও। আদি বাসিন্দা উল্লেখের নামে অসমে বাঙালিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলা হচ্ছে। সে সব নিয়েও জনমত গঠনে গুরুত্ব দেন সিদ্ধার্থ দত্ত, শেখাওয়াত মজুমদাররা।

Misbahul Islam Laskar Education system
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy