Advertisement
E-Paper

বেহাল হাফলং হাসপাতাল

গত পাঁচ মাস ধরে ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে হাফলং সরকারি হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর। স্টোর চালাচ্ছেন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।

বিপ্লব দেব

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০২:১৩

গত পাঁচ মাস ধরে ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে হাফলং সরকারি হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর। স্টোর চালাচ্ছেন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। স্টোরের দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্ট নিরুপম দত্ত নিজের কর্মস্থলে না থাকায় বাধ্য হয়েই তাঁকে স্টোর চালাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এল রাংখল। তবে কর্মস্থলে হাজিরা না দিলেও নিরুপমবাবু মাসে মাসে মাইনে তুলছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাফলং সিভিল হাসপাতালই ডিমা হাসাও জেলার একমাত্র হাসপাতাল। পাহাড়ি এই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন শ’চারেক রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতাল সুপার হরপাল সিংহ সুরি জানান, ওই ফার্মাসিস্ট দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালে আসছেন না। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালকের কাছে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য, গত অগস্ট মাসে স্বাস্থ্য বিভাগ বলা সত্ত্বেও তিনি দায়িত্বও ছাড়ছেন না। এর ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্যার পড়েছে। সুপার বলেন, ‘‘গত পাঁচ মাস ধরে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী মেডিসিন স্টোর সামলাচ্ছে। ওষুধ-বিভ্রাটের কোনও ঘটনা ঘটলে কাঠগড়ায় উঠবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে, নিরুপমবাবুর বিরুদ্ধে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি পদে চাকরি দেওয়া নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদ হাফলং সিভিল হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির খালি পদে ২১৩ জনকে নিযুক্তি দেয়। এদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, নিরুপম দত্তকে তাঁরা চাকরির জন্য ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সঞ্চালক দীপালি বর্মন নিরুপমবাবুকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠায়। কোনও উত্তর দেননি তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সরকারি চাকরির পাশাপাশি নিরুপমবাবু বেনামে হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহের কাজ করে চলেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই নিরুপমবাবুর সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ।

Haflong hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy