নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
মোদী-হাওয়া কি এখনও বইছে? তাল ঠুকে বলতে পারছেন না নরেন্দ্র মোদী নিজেই।
চন্দ্রবাবু জোট ছেড়েছেন, নীতীশ কুমারও পা বাড়িয়ে আছেন। নিজের জোটে এত ঝঞ্ঝাট, তার উপর রাহুল গাঁধীরা জোট গড়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন। আজও শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল।
অতএব? ভোটের আগে মোদী খেলছেন নতুন আবেগের তাস। বিরোধী জোটে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে বলছেন, ‘‘বিরোধীদের আর কোনও এজেন্ডা নেই। শুধু আমাকে হটাতে চাওয়া ছাড়া।’’ কংগ্রেসের পাল্টা শ্লেষ, বিরোধীরা তা ছাড়া কী চাইবে? মোদী বিরোধীদের থেকে আর কী প্রত্যাশা করেন?
চার বছর হয়ে গেল, মোদী আজ পর্যন্ত একটিও খোলামেলা সাংবাদিক সম্মেলন করার ঝুঁকি নেননি। বেছে বেছে এ বার়ও একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই বলেছেন, ‘‘বিরোধী মহাজোটে আসলে মহা-দৌড় চলছে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য। রাহুল গাঁধী বলেছেন, তিনি তৈরি। কিন্তু তৃণমূল রাজি নয়। মমতাজি প্রধানমন্ত্রী হতে চান। তাতে বামেদের সমস্যা। এসপি-ও মনে করে, তাদের নেতা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সেরা। মোদীর প্রতি ঘৃণাই একমাত্র আটকে রেখেছে এঁদের।’’
বিরোধী জোটে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে মোদী টেনে আনেন কংগ্রেসের পাঁচমারি অধিবেশনে ‘একলা চলো’ নীতির প্রসঙ্গ। বলেন, সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস তখন দেশে এক দলের রাজত্ব চেয়েছিল। আর এখন কংগ্রেস প্রায় আঞ্চলিক দলে পর্যবসিত হয়ে অস্তিত্বের লড়াইয়ে শরিক খুঁজছে। কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘মোদীর পাঁচমারি মনে আছে, শিমলা অধিবেশন ভুলে গেলেন? যার পরেই ইউপিএ সরকার হয়েছে! মোদীর ঔদ্ধত্য আর ব্যর্থতারই নজির এই সাক্ষাৎকার। লোকসভার পর একের পর এক ভোটে বিজেপির হারই তার প্রতিফলন।’’
সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্নও করা হয়েছিল মোদীকে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ প্রসঙ্গে। গো-বলয়ের সবথেকে বড় রাজ্যে ২০১৪ আর ২০১৭ সালে বড় জয়ের পরেও বিজেপি কি দুর্বল হচ্ছে না? সাধারণত এ ধরনের প্রশ্নে আজও কোনও বিজেপি নেতা বলেন, মোদী-হাওয়া অমলিন। কিন্তু মোদী সে কথা বলতে পারলেন না। বললেন, ‘‘একদল বলবে, হাওয়া আছে। আর একদল বলবে হাওয়া নেই। আপনারাই বিচার করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy