নাগাল্যান্ডে ভোট নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় এক পা এগিয়েও দু’পা পিছোতে হচ্ছে কেন্দ্র ও বিজেপিকে। ২০১৫ সালের অগস্টে নাগা চুক্তির প্রস্তাবনায় সই হয়েছিল ঢাকঢোল পিটিয়ে। সেই চুক্তি এখনও সই হয়নি। এ নিয়ে রাহুল গাঁধী আজ টুইটে অভিযোগ এনেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাঁর কথার কোনও মূল্য নেই।’’ এরই মধ্যে এনএসসিএন(আই-এম) আজ ফের বিবৃতি দিয়ে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত অনড় থাকার কথা ঘোষণা করেছে।
রাজ্য যখন ভোটের দিকে এগোচ্ছে, তখনই রাহুলের খামোখা ‘খুঁচিয়ে ঘা করার’ এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে রাজ্য বিজেপি। তাদের মতে, নাগাল্যান্ডে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই উস্কানি দিতে চাইছেন রাহুল।
কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারীর স্পষ্ট দাবি, নাগা চুক্তির ব্যাপারে সব পক্ষ আন্তরিক। কয়েকটি শর্ত না মেলায় চুক্তি আটকে রয়েছে। কিন্তু এই দাবি করার কিছু পরেই ছবিটা পাল্টে যায় এনএসসিএন(আই-এম)-এর বিবৃতিতে। কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় মধ্যস্থতাকারী আর এন রবি এবং রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল যখন রাজ্যের সব দল ও সংগঠনকে ভোট বয়কটের ডাক প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অনুরোধ জানাচ্ছে, তখনই শান্তি চুক্তির প্রধান পক্ষ এনএসসিএন(আই-এম) ঘোষণা করল, যৌথ মঞ্চ ভোট বয়কটের যে ডাক দিয়েছে তাতে অনড় থাকা উচিত। না হলে ভারত সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণা থামবে না। আগে নাগা শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত হবে, তার পরেই ভোট হবে নাগাল্যান্ডে। এ ব্যাপারে নাগা হো হো, নাগা উপজাতি সংগঠন, মাদার্স অ্যাসোসিয়েশনকে একজোট হওয়ার ডাক দেয় আই-এম। তাদের অভিযোগ, ২০১৫ সালের ৩ অগস্ট কেন্দ্র নাগা চুক্তির যে প্রস্তাবনা স্বাক্ষর করে তার ভিত্তিতে এত দিনে চুক্তি হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: রাজনাথের ফোনে সুর নরম টিডিপি-র
নাগা চুক্তি আগে সারার দাবিতেই রাজ্যে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ১১টি রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বিজেপি প্রথম দল হিসেবে ভোটে লড়বে বলে জানায়। কংগ্রেস খুবই কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। তারা নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করবে বললেও প্রার্থী তালিকার ব্যাপারে মুখ খোলেনি। ৭ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও তিন প্রধান দলের কেউই এখনও মনোনয়ন জমা দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy