কর্নাটকের অধুনা উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে দিল্লি গেলেন আরও কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক। একাধিক সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ সাত-আট জন বিধায়ক রবিবার মধ্যরাতে দিল্লি পৌঁছেছেন। শিবকুমারকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে তাঁরা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে একই দাবি জানিয়ে দু’দফায় দিল্লি গিয়েছিলেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরা। এই বিধায়কদের দাবি, ২০২৩ সালে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে শিবকুমারকে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই নেতার মধ্যে। সেই ‘প্রতিশ্রুতির সম্মান’ রাখার দাবি তুলেছেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠরা। ঘটনাচক্রে, অক্টোবরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া।
আরও পড়ুন:
যদিও এত কিছুর পরেও সব কিছু স্বাভাবিক আছে বলেই দাবি করছেন শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটক সরকারের নেতৃত্বে বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন দু’জনেই, অন্তত প্রকাশ্যে। সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, তিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। আর শিবকুমার জানিয়েছেন, বিধায়কদের একাংশ যে দিল্লি গিয়ে খড়্গের সঙ্গে দেখা করেছেন, তা তিনি জানতেনই না! এই আবহে কর্নাটকেই রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। রবিবার দিল্লি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি বেঙ্গালুরুতে রয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, কর্নাটকের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং নেতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন তিনি। কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে খড়্গে বলেন, “যা-ই ঘটুক না কেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের এই বিষয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”