মোটা বেতনে বিদেশে চাকরির প্রলোভন! সেই টোপে পা দিয়ে বহু ভারতীয়ই দেশ ছাড়েন। কেউ রাশিয়া, কেউ পশ্চিম দুনিয়ার কোনও দেশে, কেউ আবার মায়ানমার বা তাইল্যান্ডে পাড়ি দেন। কিন্তু সেই সব জায়গায় পৌঁছে বুঝতে পারেন প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন। অবৈধ ভাবে প্রবেশের অভিযোগও ওঠে অনেক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে। এ বার সেই সব ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হল ভারত সরকার। দফায় দফায় ৫০০ জনের বেশি ভারতীয়কে বিশেষ বিমানে মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে জানাল বিদেশ মন্ত্রক।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে এ দেশের নাগরিকদের মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আরও ২৬৬ জন ভারতীয়কে নিরাপদে দেশে ফেরানো হয়েছে।’’ সোমবার একই ভাবে ২৮২ জন ভারতীয়কে ফেরানো হয়েছে দেশে। রণধীর জানান, চাকরির টোপ দিয়ে যে সব ভারতীয়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ভারতীয় দূতাবাস মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
আরও পড়ুন:
সাইবার দাসত্ব বা সাইবার ক্রীতদাস— বিশ্বে এখন বহুলপ্রচলিত শব্দ। বিদেশে চাকরির সুযোগ, সঙ্গে মোটা বেতন—এই দুই অস্ত্রেই ঘায়েল হন অনেক সাধারণ মানুষ। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এই প্রতারণাচক্র। অনেক ভারতীয়ও এই ফাঁদে পা দেন। সাইবার দাসত্ব সবচেয়ে বেশি চলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। কম্বোডিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড বা লাওসের মতো দেশগুলিতে। অনেকেই প্রতারকদের প্রলোভন এড়াতে পারেন না। ভুল করে বসেন। সেই একটা ভুলই তাঁদের ঠেলে দেয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। না-বুঝেই সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এই সব চক্র সম্পর্কে ভারত সরকার বার বার সতর্ক করে নাগরিকদের।