দুবাই থেকে সোনা কেনেন। তার পর পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায়। কিন্তু তিনি এসে পৌঁছোন ভারতে! বেঙ্গালুরুর রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরকে (ডিআরআই) এমনই জানিয়েছেন ধৃত কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। সোনা পাচার মামলায় তাঁর গ্রেফতারির নথিতে সেই কথারই উল্লেখ রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন, অতীতেও দু’বার একই ভাবে দুবাই থেকে সোনা এনেছিলেন তিনি।
গ্রেফতারির নথি অনুযায়ী, গত বছর ১৩ নভেম্বর এবং ২০ ডিসেম্বর দুবাই থেকে সোনা কিনে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন রান্যা। কিন্তু কোনও বারই ভারতে আসার কথা দুবাইয়ের শুল্ক দফতরকে জানাননি। সেখানকার কর্মকর্তাদের জানান, তিনি যাবেন জেনিভায়। কিন্তু তাঁর পাসপোর্ট বলছে, দু’বারই তিনি সোনা নিয়ে এসেছেন ভারতে। ডিআরআই-এর দাবি, প্রায় চার কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন রান্যা!
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হন রান্যা। গ্রেফতারির পর গোয়েন্দাদের কাছে দেওয়া বয়ানে অভিনেত্রী স্বীকার করেন, ১৭টি সোনার বার নিয়ে দুবাই থেকে এসেছিলেন তিনি। শুধু দুবাই নয়, ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর পাসপোর্টেও রয়েছে নানা দেশে ভ্রমণের ইতিহাস। কিন্তু কেন এত বার তিনি বিদেশযাত্রা করেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রান্যাও সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ বলে জানান গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন:
রান্যার বাবা কে রামচন্দ্র রাও কর্নাটক পুলিশের ডিজি। সোনা পাচার করতে আইপিএস আধিকারিকের কন্যা হিসাবে বাবার নাম এবং পদমর্যাদাকে কাজে লাগাতেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। গত এক বছরে তিনি অন্তত ২৭ বার দুবাইয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গ্রেফতারির আগে ১৫ দিনে চার বার সেখানে গিয়েছেন। অভিযোগ, প্রতি বারই সঙ্গে করে সোনা নিয়ে এসেছেন তিনি।