মানুষের সঙ্গে সংঘাত রুখতে করিমগঞ্জে জনবসতির কাছাকাছি ঢুকে আসা বুনো হাতির পাল নিরাপদ জায়গায় সরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানালেন করিমগঞ্জের সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়েছে কেন্দ্র। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, কারিগরী সাহায্যের এ জন্য অর্থ বরাদ্দ করতেও তাঁরা রাজি। চিঠিতে এ সব জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বন তথা পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী অনিল মাধব দাভে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করিমগঞ্জের পাথারকান্দি বিধানসভার চান্দখিরা জেলা পরিষদ এলাকায় হাতির তাণ্ডবে সঙ্কটে সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর হাতির দল গ্রামে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাঙে। ধানক্ষেত নষ্ট করে। হাতি তাড়াতে রাত জাগেন এলাকাবাসী। হাতির হানায় মারাও গিয়েছিলেন এক জন। খেতে ফসল নষ্ট করে। আশঙ্কায় ওই এলাকার অনেক কৃষক বন্ধ করেছেন চাষবাস। রাধেশ্যামবাবু জানান, পাথারিয়া বনাঞ্চল থেকে হাতি মাঝেমধ্যেই ঢোকে চান্দখিরায়। তাতেই সমস্যা বাড়ে। হাতিগুলিকে কোনও ভাবে ওই এলাকা থেকে সেখান নিতে পারলে মানুষের সঙ্গে তাদের সঙ্ঘাত কমবে। নিরাপদে চাষবাস করতে পারবেন কৃষকরা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী সাংসদকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন— হাতির তাণ্ডব রুখতে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নির্ধারণ করতে চান্দখিরা জেলা পরিষদ সদস্যের নেতৃত্বে ২০ জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্য চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার এ নিয়ে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। রাধেশ্যামবাবুর অভিযোগ, কেন্দ্রের চিঠি পেয়েও তৎপর হচ্ছে না রাজ্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের লাগোয়া পাথারিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হাতিদের অবাধ গতিবিধি। জঙ্গলের পাশে কাঁটাতারের বেড়া গুঁড়িয়ে খাদ্যের খোঁজে হাতিগুলি গ্রামে ঢোকে। নষ্ট করে ফসল। বার বার বুনো হাতি কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে ফেলায় লক্ষ্মীপুরে ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ তৈরি করা হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়েই হাতি যাতায়াত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy