দরকারের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ বহু দিনের। এ বার সেই পুলিশই অতি সক্রিয় হয়ে মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেল ও সৈকতে হানা দিয়ে রবিবার দুপুরে ৬১ জনকে গ্রেফতার করার পর ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে তাদের ভূমিকা নিয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ১৩ যুগল রয়েছে। এ ছাড়া, নারী পাচার চক্রের হাত থেকে উদ্ধার করা তিন মহিলা মুম্বইয়ের একটি হোমে রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কেন গ্রেফতার করা হল তাঁদের?
পুলিশ সূত্রের খবর, যুগলদের সকলেই বিভিন্ন দুই-তারা হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়ে ছিলেন। বাকি ৩৫ জনকে প্রকাশ্যে সৈকতে মদ্যপান করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে প্রচুর কলেজ পড়ুয়াও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতারির পরে ধৃতদের সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। তাঁদের কয়েক জনকে পরে শর্তসাপেক্ষে জামিনও দেওয়া হয়। তবে, কলেজ পড়ুয়া সকলেরই পরিবারকে খবর দিতে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ দিনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মুম্বই পুলিশকে। মুম্বই পুলিশের এক কর্তার যুক্তি, দিনের পর দিন শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং সৈকতগুলিতে প্রকাশ্যে যে ভাবে অশালীনতা বেড়ে চলেছে, তাতে রাশ টানতেই পুলিশ আজ এই ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু, এই ‘প্রকাশ্য’ শব্দটা নিয়েই অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল। তাঁদের বক্তব্য, হোটেলে দুই প্রাপ্তবয়স্ক যুগলের ব্যক্তিগত ভাবে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকাকে পুলিশ কোন যুক্তিতে প্রকাশ্যে অপরাধের তকমা দিচ্ছে। এ ভাবে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy