Advertisement
E-Paper

কিডনি চক্র: মুম্বইয়ের নামী হাসপাতালের বাঙালি সিইও সহ ৫ ডাক্তার ধৃত

যে কেউ নন, কিডনি পাচার চক্রের চাঁই এ বার কেউকেটারাই! তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালিও।কিডনি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বইয়ে ধরা পড়লেন একটি নামী হাসপাতালের দামি ডাক্তার, হর্তাকর্তারা। যাঁদের ‘মধ্যমণি’ এক জন বাঙালি। ডাক্তার এলএইচ হিরানন্দানি হাসপাতালের সিইও সুজিত চট্টোপাধ্যায়, মেডিক্যাল ডিরেক্টর মুকেশ শেতে, মুকেশ শাহ এবং প্রকাশ শেট্টি। মুম্বই পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসক সহ কিডনি পাচারের এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৬ ১৬:১১
এই সেই মুম্বইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতাল। ছবি-ইন্টারনেট।

এই সেই মুম্বইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতাল। ছবি-ইন্টারনেট।

যে কেউ নন, কিডনি পাচার চক্রের চাঁই এ বার কেউকেটারাই! তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালিও।

কিডনি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বইয়ে ধরা পড়লেন একটি নামী হাসপাতালের দামি ডাক্তার, হর্তাকর্তারা। যাঁদের ‘মধ্যমণি’ এক জন বাঙালি। ডাক্তার এলএইচ হিরানন্দানি হাসপাতালের সিইও সুজিত চট্টোপাধ্যায়, মেডিক্যাল ডিরেক্টর অনুরাগ নায়েক, মুকেশ শেতে, মুকেশ শাহ এবং প্রকাশ শেট্টি। মুম্বই পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসক সহ কিডনি পাচারের এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল।

মুম্বইয়ে এই কিডনি চক্রটি সম্পর্কে পুলিশের কাছে প্রথম খবরটি এসেছিল গত মাসে। ওই চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের কাজ-কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল মুম্বইয়ের নামী বেসরকারি এলএইচ হিরানন্দানি হাসপাতালে।

পুলিশ খবর পায়, ওই কিডনি চক্রটি আইন ভেঙে যার তার কিডনি কোনও পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই প্রতিস্থাপনের জন্য রোগী বা তার পরিবারদের সরবরাহ করছে। আইন অনুযায়ী, একমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কিডনিই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। রক্তের সম্পর্ক নেই, এমন কারও বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের কিডনি কোনও রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করাটা আইনত অবৈধ। যে কিডনি চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে তাদের কাজ-কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল মুম্বইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতালে, তারা ওই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেখান সেখান থেকে কিডনি এনে রোগীদের শরীরে প্রতিস্থাপনের জন্য হাসপাতালে সরবরাহ করত। আর সেই কিডনিকে কোনও রোগীর শরীরে বসানোর জন্য সুপারিশ করতেন হাসপাতালের সিইও সুজিত চট্টোপাধ্যায় ও তিন মেডিক্যাল ডিরেক্টররা।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শুধুই ওই হাসপাতালের সিইও বা মেডিক্যাল ডিরেক্টররা নন, সেখানকার বহু নার্স, আয়া, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও ওই কিডনে চক্রে কোনও না কোনও ভাবে জড়িত। তার ভিত্তিতে জুলাইয়ে ওই হাসপাতালের এক ডাক্তার সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তা শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ’৯৪ সালের ‘ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অফ হিউম্যান অরগ্যান অ্যাক্ট’ মোতাবেক ফোজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ভারত বিশ্বে ‘ডায়াবেটিক ক্যাপিট্যাল’ হয়ে ওঠায় এ দেশে প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনির প্রয়োজন খুব বেশি। আর সেই প্রয়োজন দিন কে দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তারই সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে কিডনি চক্রের রমরমা। জুনে কলকাতার রাজারহাটে পুলিশের হাতে ধরা পড়া এক চাঁই কবুল করেছিল, প্রায় দেড়-দু’শক ধরে দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় কিডনি পাচারের বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। আর সেই সক্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েও চলেছে।

আরও পড়ুন- দেবী হয়ে বাঁচতে চান না, অনশন ভাঙলেন শর্মিলা

Mumbai Kidney Racket Hiranandani Hospital Doctors Arrested
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy