বিপর্যয়: আবাসন চত্বরে ধস নেমে চাপা পড়ে রয়েছে গাড়ি। মুম্বইয়ের ওয়াডালা এলাকায়। সোমবার। ছবি: রয়টার্স।
ভোর তখন চারটে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওয়াডালার কাছে অ্যানটপ হিলের একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা ভয়াবহ শব্দে চমকে উঠেছিলেন। বারান্দায় বেরিয়ে দেখলেন, তাঁদের আবাসনের গা ঘেঁষে পার্কিং লটে দাঁড় করানো গাড়িগুলি একে একে ঢুকে যাচ্ছে গভীর গর্তে। মোট ১৫টি গাড়ি চলে গিয়েছে ধ্বংসস্তূপের তলায়। কাদা-মাটিতে আটকে রয়েছে আরও পাঁচটি গাড়ি। ওই আবাসনের পাশেই চলছিল আর একটি বড় নির্মাণ প্রকল্প। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে সেখানেই ধস নামে। যার ফলে পাশের আবাসনটির দেওয়ালে ভেঙে পড়ে পার্কিং লটে।
দমকল আর পুলিশে খবর যায় সঙ্গে সঙ্গেই। পুলিশ এসে ওই আবাসনের একটি অংশের সব বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।
গত কাল থেকে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই ও ঠাণে। আজও সকাল থেকে খারাপ ছিল আবহাওয়া। অফিস-স্কুল যেতে গিয়ে নাকাল হতে হয়েছে মানুষকে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ২৩১.৪ মিলিমিটার। এই মরসুমে এই প্রথম এতটা বৃষ্টি হল বাণিজ্যনগরীতে। ফলে আজ সকাল থেকেই বিপর্যয়ের সেই চেনা ছবি ফিরে এসেছে।
প্রায় কোমর সমান জল দাঁড়িয়েছে চেম্বুর, আন্ধেরী, খার, দাদার, সান্তাক্রুজ়, মালাড শহরতলির মতো এলাকায়। কোথাও কোথাও লাইনে জল দাঁড়িয়ে আটকে পড়েছে ট্রেন। বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামাও ছিল অনিয়মিত। ইস্টার্ন এক্সপ্রেসওয়ে হাইওয়েতে একটি কন্টেনার উল্টে গিয়ে প্রবল যানজট হয় আজ।
মুম্বই আর ঠাণেতে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। মালাডে খোলা ড্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছে বছর পনেরোর এক কিশোর। ঠাণেতে দেওয়াল ভেঙে পড়ে মারা যায় এক ১৩ বছরের কিশোর। দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে গাছ ভেঙে পড়ে কাল মারা গিয়েছেন দু’জন। তবে মুম্বই পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তারা প্রস্তুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy