অচেনা একটি নম্বর ভেসে উঠল হোয়াট্সঅ্যাপে। মহারাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মীর ফোনে এসেছিল সেই বার্তা। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘৩০ অগস্ট বিয়ে। সাদর আমন্ত্রণ রইল। বিয়েতে অবশ্যই আসবেন। ভালবাসাই আনন্দের চাবিকাঠি।’’ এই মেসেজের শেষে একটি পিডিএফ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। আর ওই পিডিএফ ফাইলেই লুকিয়ে ছিল সাইবার অপরাধীদের পাতা ফাঁদ।
কৌতূহলবশত সেই পিডিএফ ফাইল খুলেছিলেন মহারাষ্ট্রের এক সরকারি কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ তাঁর সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যায়। ওই পিডিএফ ফাইলের আড়ালে যে সাইবার অপরাধীরা জাল বিছিয়ে রেখেছে, সেটা ওই সরকারি কর্মীর ধারণাতেই আসেনি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই একের পর এক মেসেজ ঢুকতে শুরু করে তাঁর ফোনে। সেই মেসেজে জানানো হয়, ৩০ হাজার টাকা তোলা হল। ৫০ হাজার টাকা তোলা হল। এ রকম কয়েক বার মেসেজ আসে। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুরো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেয় সাইবার অপরাধীরা। প্রায় দু’লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর সাইবার অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলায়। কিন্তু আবার নতুন করে এই কৌশল নিতে শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। অচেনা নম্বর থেকে হোয়াট্সঅ্যাপ আসছে। নানা রকম লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। কখনও বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হচ্ছে। একটি বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে পিডিএফ ফাইল। আর সেই পিডিএফ ফাইলে ক্লিক করতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।