Advertisement
E-Paper

পাহাড় কেটেছে স্কুটার! থ সিএজি

সিএজি-র ওই রিপোর্টে রয়েছে মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তে সড়ক তৈরির কাজের খতিয়ান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ‘সন্দেহজনক’ যানবাহন ব্যবহার করে পাহাড় কাটা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০৩:২৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অটোরিকশা, স্কুটার, মোটরসাইকেলের সাহায্যে পাহাড়ের মাটি-পাথর কাটা ও সে সব সরিয়ে রাস্তা তৈরির কাজ হয়েছে মিজোরামে! হিসেব দেখে থ সিএজি। এ নিয়ে তাদের রিপোর্ট ভোটের মুখে অস্বস্তিতে ফেলেছে কংগ্রেসকে।

সিএজি-র ওই রিপোর্টে রয়েছে মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্তে সড়ক তৈরির কাজের খতিয়ান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ‘সন্দেহজনক’ যানবাহন ব্যবহার করে পাহাড় কাটা হয়েছে। ওই সময়ে ক্ষমতায় ছিল লালথানহাওলার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার।

সিএজি খোঁজ নিয়ে দেখেছে, পূর্ত দফতর রাস্তা তৈরি ও পাহাড় কাটার কাজে যে সব ‘এক্সক্যাভেটর’ ও ‘আর্থ মুভার’ ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী তার অনেকগুলিই অটোরিকশা, প্রাইভেট গাড়ি, মোটরসাইকেল বা স্কুটার। মোট ৬৭টি সড়ক প্রকল্পে এমন সব রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখিয়ে ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা গাড়ি ভাড়ার হিসেব জমা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ২০টি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একই নম্বরের ‘এক্সক্যাভেটর’ ও ‘আর্থ মুভার’ একই দিনে দু’টি পৃথক রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিএজির সন্দেহ, এ ভাবে সরকারি টাকা নয়ছয় করেছে পূর্ত দফতর। এ নিয়ে সিএজির তরফে ওই দফতরের কাছে জবাব চাওয়া হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা জানান, ওই সব ‘এক্সক্যাভেটর’ ও ‘আর্থ মুভার’-এর মালিকদের কাছ থেকে ফোনে রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল। মোবাইল নেটওয়ার্ক খারাপ থাকায় নম্বর শুনতে ভুল হয়েছে। এই ব্যাখ্যায় আদৌ সন্তুষ্ট নয় সিএজি, রিপোর্টে তা স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ঘটনা দেশে নজিরবিহীন নয়। বিহারে নব্বইয়ের দশকের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে একই ভাবে স্কুটারে, অ্যাম্বাসাডরে বা অটোয় করে শয়ে শয়ে গরু-মোষ চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে। রাজ্যে জুড়ে বিভিন্ন ট্রেজারি থেকে সেই সব গাড়ির নম্বর দিয়ে বিল জমা দিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়। তারই জেরে বিভিন্ন মামলায় সম্প্রতি দোযী সাব্যস্ত হয়ে জেলবন্দি বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ। দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রও।

PWD Myanmar-Mizoram Border Road Work CAG
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy