Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Bhimkund

গভীরতা মাপা গেল না আজও, ভীমকুণ্ডের ২৫০ ফুট নীচে ভয়ঙ্কর স্রোতের রহস্যও অধরা

ভীমকুণ্ড, নামটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। একটা ঐতিহাসিক এবং মহাকাব্যিক স্থান। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। এটি নীলকুণ্ড নামেও পরিচিত। মহাভারতেও এই জলাশয়ের উল্লেখ আছে। একটা রহস্যকাহিনি রয়েছে এই ভীমকুণ্ডকে ঘিরেই। কী সেই কাহিনি জেনে নেওয়া যাক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:১৮
Share: Save:
০১ ১১
ভীমকুণ্ড, নামটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। একটা ঐতিহাসিক এবং মহাকাব্যিক স্থান। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। এটি নীলকুণ্ড নামেও পরিচিত। মহাভারতেও এই জলাশয়ের উল্লেখ আছে। একটা রহস্যকাহিনি রয়েছে এই ভীমকুণ্ডকে ঘিরেই। কী সেই কাহিনি জেনে নেওয়া যাক।

ভীমকুণ্ড, নামটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। একটা ঐতিহাসিক এবং মহাকাব্যিক স্থান। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। এটি নীলকুণ্ড নামেও পরিচিত। মহাভারতেও এই জলাশয়ের উল্লেখ আছে। একটা রহস্যকাহিনি রয়েছে এই ভীমকুণ্ডকে ঘিরেই। কী সেই কাহিনি জেনে নেওয়া যাক।

০২ ১১
ভীমকুণ্ড দেখতে একটা সাধারণ জলাশয়ের মতোই। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এটা কোনও সাধারণ জলাশয় নয়। এই জলাশয় নাকি এশিয়া মহাদেশে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্কেত দেয়। তাঁদের আরও দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আঁচ পেলেই ভীমকুণ্ডের শান্ত জলে একটা আলোড়ন শুরু হয়ে যায়।

ভীমকুণ্ড দেখতে একটা সাধারণ জলাশয়ের মতোই। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এটা কোনও সাধারণ জলাশয় নয়। এই জলাশয় নাকি এশিয়া মহাদেশে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্কেত দেয়। তাঁদের আরও দাবি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আঁচ পেলেই ভীমকুণ্ডের শান্ত জলে একটা আলোড়ন শুরু হয়ে যায়।

০৩ ১১
২০০৪-এর সুনামির সময় ভীমকুণ্ডের এই ‘অদ্ভুত ক্ষমতা’ চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, সেই সময় শান্ত ভীমকুণ্ডের জল নাকি প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে উঠেছিল।

২০০৪-এর সুনামির সময় ভীমকুণ্ডের এই ‘অদ্ভুত ক্ষমতা’ চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, সেই সময় শান্ত ভীমকুণ্ডের জল নাকি প্রায় ১৫ ফুট উঁচুতে উঠেছিল।

০৪ ১১
ভীমকুণ্ডের আরও একটা বিশেষত্ব আছে। দাবি করা হয়, এর সঠিক গভীরতা এখনও পর্যন্ত কেউ মাপতে সক্ষম হননি। স্থানীয় প্রশাসন তো বটেই, বিদেশি বৈজ্ঞানিকদের একটি দলও ব্যর্থ হয় এই অভিযানে।

ভীমকুণ্ডের আরও একটা বিশেষত্ব আছে। দাবি করা হয়, এর সঠিক গভীরতা এখনও পর্যন্ত কেউ মাপতে সক্ষম হননি। স্থানীয় প্রশাসন তো বটেই, বিদেশি বৈজ্ঞানিকদের একটি দলও ব্যর্থ হয় এই অভিযানে।

০৫ ১১
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক যে বিষয়টি দাবি করা হয়েছে, ভীমকুণ্ডের ২৫০ ফুট গভীরে যাওয়ার পরই তীব্র স্রোতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। কিন্তু এই স্রোত কোথা থেকে আসছে সেই রহস্য এখনও ভেদ করা সম্ভব হয়নি।

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক যে বিষয়টি দাবি করা হয়েছে, ভীমকুণ্ডের ২৫০ ফুট গভীরে যাওয়ার পরই তীব্র স্রোতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। কিন্তু এই স্রোত কোথা থেকে আসছে সেই রহস্য এখনও ভেদ করা সম্ভব হয়নি।

০৬ ১১
ভীমকুণ্ডের জলস্তর কমানোর জন্য ১৯৭৭ সালে জেলা প্রশাসন তিনটে পাম্প লাগিয়েছিল। কিন্তু পাম্প দিয়ে জল তোলার পরেও দেখা যায় এক ইঞ্চিও জলস্তর কমেনি।

ভীমকুণ্ডের জলস্তর কমানোর জন্য ১৯৭৭ সালে জেলা প্রশাসন তিনটে পাম্প লাগিয়েছিল। কিন্তু পাম্প দিয়ে জল তোলার পরেও দেখা যায় এক ইঞ্চিও জলস্তর কমেনি।

০৭ ১১
ছতরপুর জেলা কার্যালয় থেকে ৭৭ কিলোমিটার দূরে ঘন জঙ্গলে ভীমকুণ্ডের জলে সূর্যের আলো পড়লেই জলের রং নীল দেখায় এবং ঝকঝক করে। এই বিশেষত্বের জন্যই ভীমকুণ্ডের আর এক নাম নীলকুণ্ড। পুরাণে উল্লিখিত নীলকুণ্ডের সঙ্গে নাকি এর মিলও খুঁজে পাওয়া যায়।

ছতরপুর জেলা কার্যালয় থেকে ৭৭ কিলোমিটার দূরে ঘন জঙ্গলে ভীমকুণ্ডের জলে সূর্যের আলো পড়লেই জলের রং নীল দেখায় এবং ঝকঝক করে। এই বিশেষত্বের জন্যই ভীমকুণ্ডের আর এক নাম নীলকুণ্ড। পুরাণে উল্লিখিত নীলকুণ্ডের সঙ্গে নাকি এর মিলও খুঁজে পাওয়া যায়।

০৮ ১১
ভীমকুণ্ড নাম কেন হল, এই কাহিনিও কম আকর্ষণীয় নয়। মহাভারতের সময়ের সঙ্গে এই জলাশয়ের নাম জড়িয়ে আছে।

ভীমকুণ্ড নাম কেন হল, এই কাহিনিও কম আকর্ষণীয় নয়। মহাভারতের সময়ের সঙ্গে এই জলাশয়ের নাম জড়িয়ে আছে।

০৯ ১১
প্রচলিত বিশ্বাস, ১২ বছর বনবাসের সময় যখন পাণ্ডবরা এক বছর অজ্ঞাতবাসে কাটাচ্ছিলেন, তখন এই ভীমকুণ্ডের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন। সে সময় এখানে ভীমকুণ্ড ছিল না। ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় দ্রৌপদীর খুব তেষ্টা পায়। কিন্তু গভীর অরণ্যে তেষ্টা মেটানোর মতো কোনও জলাশয়ই খুঁজে পাননি পাণ্ডবরা।

প্রচলিত বিশ্বাস, ১২ বছর বনবাসের সময় যখন পাণ্ডবরা এক বছর অজ্ঞাতবাসে কাটাচ্ছিলেন, তখন এই ভীমকুণ্ডের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন। সে সময় এখানে ভীমকুণ্ড ছিল না। ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় দ্রৌপদীর খুব তেষ্টা পায়। কিন্তু গভীর অরণ্যে তেষ্টা মেটানোর মতো কোনও জলাশয়ই খুঁজে পাননি পাণ্ডবরা।

১০ ১১
উপায় না দেখে ভীম তাঁর গদা দিয়ে মাটিতে জোরে আঘাত করেন। তাঁর গদার শক্তিশালী আঘাতে মাটি ভেদ করে জল বেরিয়ে আসে। সেই থেকেই নাম এখানে ভীমকুণ্ডের উত্পত্তি।

উপায় না দেখে ভীম তাঁর গদা দিয়ে মাটিতে জোরে আঘাত করেন। তাঁর গদার শক্তিশালী আঘাতে মাটি ভেদ করে জল বেরিয়ে আসে। সেই থেকেই নাম এখানে ভীমকুণ্ডের উত্পত্তি।

১১ ১১
ভীমকুণ্ডের জল খুব পবিত্র বলে মনে করেন স্থানীয়রা। মকর সংক্রান্তির দিন এখানে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।

ভীমকুণ্ডের জল খুব পবিত্র বলে মনে করেন স্থানীয়রা। মকর সংক্রান্তির দিন এখানে স্নান করা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE