রাষ্ট্রপতি শাসনের সাড়ে তিন মাস পার হয়েছে, কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও অশান্ত। ফেব্রুয়ারিতে ছ’মাসের জন্য বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল মণিপুরে। ১৩ অগস্ট সেই মেয়াদ শেষ হবে। বিজেপি বিধায়কদের আশা, ১২ অগস্টের আগেই রাজ্যে নির্বাচিত সরকার ফেরানো হবে। কিন্তু মেইতেই যৌথ মঞ্চগুলি এবং তাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাম্বাই টেঙ্গল রাজ্যে ১০ দিনের বন্ধ ডেকে ঘোষণা করেছে, অবিলম্বে সরকার ফেরাতে হবে রাজ্যে। না হলে শুরু হবে তীব্র আন্দোলন।
এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আমন্ত্রণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও মণিপুরের রাজা তথা রাজ্যসভার সাংসদ লেইশেম্বা সানাজাওবা আজ দিল্লি গিয়েছেন। বীরেন বিমানবন্দরে প্রবেশ করার আগে মণিপুরের জনগণকে সতর্কতা ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান। বলেন, “আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব নিয়ে এগোতে হবে। আমরা সম্ভাব্য সব কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের অবস্থার পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। দ্রুত সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে হবে।”
আরাম্বাই টেঙ্গলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এ কানন সিংহ এবং তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে সিবিআই গ্রেফতার করার জেরে দু’দিন ধরে অগ্নিগর্ভ সমতল। ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল এবং কাকচিংয়ে ১৮৯ ধারা, বিষ্ণুপুরে সম্পূর্ণ কারফিউ জারি করা হয়েছে। কানন সিংহকে গুয়াহাটি এনে বিশেষ আদালত থেকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ২৫ জন বিধায়ক ও রাজ্যসভার সাংসদ লেইশেম্বা রাজ্যপাল অজয় ভল্লার সঙ্গে দেখা করে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এ দিকে, কুকি এলাকা মোরেতে এক জন পুলিশ অফিসারকে হত্যার ঘটনায় তিন জন কুকিকে গ্রেফতার করা ঘিরে কুকিরাও ক্ষিপ্ত। মেইতেইরা কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি অবিলম্বে শেষ করার দাবিতে অনড়। তবে আজ দিল্লিতে ওই সংগঠনগুলির দুই যৌথ মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্র।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)