নাগাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্য মেনে নেওয়া এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এনএসসিএন আই-এম জানাল— যে হেতু তারা সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে, তাই মানুষ তাদের কর দিতে বাধ্য।
নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের নাগা অধ্যূষিত তিন জেলায় প্রতি মাসে কর আদায় করে এনএসসিএনের তিনটি শাখা। এর মধ্যে সব চেয়ে শক্তিশালী এনএসসিএন আই-এম। তাদের কর আদায়ের বিরুদ্ধে নাগাল্যান্ডে মঞ্চও গড়া হয়েছে। নাগা শান্তির শর্ত হিসেবে বিএসএফে সহস্রাধিক আই-এম জঙ্গিকে জওয়ান হিসেবে নিয়োগ করা, নাগাল্যান্ডের পৃথক পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া নিয়েও চলছে বিক্ষোভ।
এই অবস্থায় আই-এম প্রধান আইজ্যাক মুইভা জানান, তাঁরা কখনওই নাগা সার্বভৌমত্বের দাবি ছাড়েননি। ভারত সরকারও নাগাদের স্বাধীন থাকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মেনে নিয়েই শান্তিচুক্তিতে এগিয়েছে। আই-এম স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক কেভিহে চিসি সু জানান, আই-এম শুধু এক বিপ্লবী সংগঠন নয়, নাগাদের অধিকার রক্ষায় লড়াই চালানো এক রাজনৈতিক সংগঠন। যারা নাগা জাতীয়তাবাদের আদর্শ মেনে শাসন চালাচ্ছে। সুয়ের মতে, আই-এম সার্বভৌমত্বের দাবিতে অটল থাকলেও যুগের নিয়ম মেনে এখন মানুষ বিচ্ছিন্ন স্বাধীনতা চায় না, তাই পরষ্পর-নির্ভরতার আদর্শ মেনেই আই-এম ও ভারত সরকার শান্তির পথে এগোচ্ছে।
কর আদায় প্রসঙ্গে সুয়ের মত, আই-এম ও দীর্ঘদিন থেকে নাগাদের জন্য সরকার চালাচ্ছে। তাই নাগারাও যুক্তিসঙ্গত ভাবে তাদের কর দিতে বাধ্য। কিন্তু কয়েকটি সংগঠন মানুষকে বিপথগামী করছে। সরকারকে আইন মেনে সব পণ্য, জল, সম্পদ, প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আদায় করতেই হয় এবং তা না দেওয়া পাপ। তাঁর দাবি, আই-এম-এর নাম করে সিন্ডিকেটরাজ, তোলাবাজি চালাচ্ছে দু্ষ্টচক্র। তার দায় সংগঠনের নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy