Advertisement
E-Paper

গগৈ তদন্তের প্রশ্নে বিরোধ সরকারেও

বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির কমিটি ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতিকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৯ ০৩:৫১
পুলিশের গাড়ি থেকেও গগৈ-বিরোধী স্লোগান। শুক্রবার দিল্লিতে। ছবি: রয়টার্স।

পুলিশের গাড়ি থেকেও গগৈ-বিরোধী স্লোগান। শুক্রবার দিল্লিতে। ছবি: রয়টার্স।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের ঘটনায় পুরোপুরি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু সরকারের সঙ্গে একমত হলেন না কেন্দ্রেরই অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের চিঠি লিখে অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল, তা বদলে নতুন কমিটি গঠন হোক। সেখানে এক জন বাইরের সদস্যকেও রাখা হোক। কোনও অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতিকে কমিটিতে রাখলে তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি বজায় থাকে বলেও মত দিয়েছেন বেণুগোপাল।

বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির কমিটি ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতিকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছে। তা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছিলেন, সেই মহিলা প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। নারী অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরাও। সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের সামনেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। আজও দিল্লির মাণ্ডি হাউস থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর চিঠিতে যে যুক্তি দিয়েছেন, সেই একই দাবি তুলেছিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়ও। তাঁরও দাবি ছিল, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হোক। অভিযোগকারিণী অভিযোগ তুলেছিলেন, তদন্ত কমিটি তাঁর সঙ্গে কোনও আইনজীবীকে থাকতে দিচ্ছে না। ওই মহিলাকে আইনজীবী রাখতে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ওই মহিলা সরে দাঁড়ানোর পরেও তদন্ত চালিয়ে যাওয়া নিয়েও আপত্তি ছিল তাঁর।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পরে এ বার অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তি প্রকাশ্যে আসায় একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরে ফাটল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কারণ, এর আগে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বেণুগোপাল অবশ্য এই বিষয়টিকে সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ বলে মানতে রাজি নন।

একটি সূত্রের দাবি, অ্যাটর্নি জেনারেল বিচারপতিদের চিঠি লিখে ওই দাবি জানানোর পরে সরকারের তরফে তাঁর উপরে এই চাপ তৈরি করা হয় যে, তিনি যেন একে ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়ে দেন। যার পরে প্রবীণ আইনজীবী বেণুগোপাল পদত্যাগ করবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। বেণুগোপাল অবশ্য এইসব খবরকে ভিত্তিহীন ও অসত্য বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন।

Narendra Modi Ranjan Gogoi Sexual Harassment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy