ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন প্রত্যাহারেও মন পাওয়া যায়নি কৃষকদের। এই আবহে পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণার পরে আজ প্রথম বার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষক সমাজের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় নীতির সুফল তুলে ধরার উপরে জোর দিলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে উন্মুক্ত স্থানে জনসভা, প্রচার, সাইকেল-মোটরবাইক মিছিল আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। জোর দেওয়া হয়েছে ভার্চুয়াল জনসভায়। আজ মোদী নিজের কেন্দ্র বারাণসীর বিভিন্ন বুথের প্রায় দশ হাজার কর্মীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ভোজপুরি ভাষায় কথোপকথন শুরু করে গোড়াতেই তিনি দলীয় কর্মীদের একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষের কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল সম্পর্কে জানাতে বলেন। বিশেষ করে কৃষকদের কাছে গিয়ে তাঁদের জনসমর্থন নিশ্চিত করার উপরে জোর দেন তিনি।
প্রত্যেক কর্মীকে প্রথমে বুথভিত্তিক ও পরবর্তী ধাপে পরিবার-পিছু জনসংযোগ গড়ে তুলতে বলেছেন মোদী। তাঁর মতে, প্রত্যেকটি ভোটের আলাদা মূল্য রয়েছে। সেই ভোট নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দলীয় খাতে বুথভিত্তিক চাঁদা সংগ্রহের উপরে একটি প্রতিযোগিতা করার কথাও ঘোষণা করেছেন মোদী। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রতিযোগিতা হবে উত্তরপ্রদেশে। রাজনীতির অনেকের মতে, এর মাধ্যমে প্রতিটি বুথকর্মীকে সক্রিয় করার পাশাপাশি বুথভিত্তিক দলীয় শক্তি কোন পর্যায়ে, তা বুঝে নিতে চাইছে বিজেপি। মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে মোদী বলেছেন, মহিলাদের পরিচালিত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে তাঁদের।
দিল্লিতে আজ উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় থেকে পঞ্চম দফার ভোটের প্রার্থী-তালিকা চূড়ান্ত করতে দলীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন যোগী আদিত্যনাথ। বিভিন্ন শরিককে, বিশেষত দলিত সমাজের প্রতিনিধি নিষাদ পার্টিকে কত আসন ছাড়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে উপস্থিত নিষাদ দলের প্রধান সঞ্জয় নিষাদ ১৭টি আসন চাইলেও বিজেপি আপাতত তাঁদের ১৫টি আসন ছাড়তে ইচ্ছুক। সঞ্জয় পরে জানান, দু’টি আসন ঘিরে মতানৈক্য রয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যেই আসন সমঝোতা হয়ে যাবে। সূত্রের মতে, দলিত ভোট নিশ্চিত করতে শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় নিষাদের দাবি মেনে নেওয়ার পক্ষপাতী বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy