নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
সব রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) খাতের টাকা একটি তহবিলে এসে জমা পড়বে। তার পর তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের অনুন্নত জেলাগুলির উন্নয়নে খরচ হবে। এমনই পরামর্শ দিয়েছেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত।
আজ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্ণধারদের সঙ্গে বৈঠকে অমিতাভ কান্ত জানান, সিএসআর খাত থেকে অনুন্নত জেলাগুলির উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে তা একটি তহবিলে জমা হোক। তারপর তা শিক্ষা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য খাতে খরচ হোক। অমিতাভর যুক্তি, ‘‘এখন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি আলাদা ভাবে ছোট ছোট কাজ করে। তা এক জায়গায় নিয়ে এসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মহিলা ও শিশুদের কল্যাণে নজর দেওয়া যেতে পারে।’’ নীতি আয়োগের হিসেব, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছে সিএসআর খাতে প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা খরচ করার মতো অর্থ রয়েছে।
এই প্রকল্পে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ যোগ দেয়নি। নীতি আয়োগ রাজ্যের যে পাঁচটি জেলাকে অনগ্রসর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলিকে অনগ্রসর বলে মানতে রাজি হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের যুক্তি ছিল, এ বিষয়ে কেন্দ্র তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এক জন অফিসারকে প্রতিটি রাজ্যের প্রভারী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও আপত্তি ছিল রাজ্যের।
নবান্ন সূত্রের অবশ্য যুক্তি, এ নিয়ে নীতি আয়োগের সঙ্গে কোনও বিরোধে যাচ্ছে না রাজ্য। নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমার আগামী ৭ অগস্ট কলকাতা যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গেও রাজ্যের বৈঠক হবে। উল্টো দিকে নীতি আয়োগের কর্তারাও রাজ্যকে এই প্রকল্পে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবেন।
এ দিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য, স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবেরা যুক্তি দেন, আয়ুষ্মান ভারত, প্রাথমিক স্কুলগুলিকে মাধ্যমিক স্কুলে উন্নীত করে ড্রপ-আউটের অনুপাত কমানোর কাজে সিএসআর খাত থেকে টাকা খরচ হতে পারে। তাঁদের দাবি, সিএসআর খাত থেকে বাইসাইকেল দেওয়ায় মেয়েদের ড্রপআউটের অনুপাত অনেকটা কমানো গিয়েছে। প্রভারী অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা এ বিষয়ে রূপরেখা তৈরি করবেন বলে ঠিক হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy