বিহার জয়ে অন্যতম কাঁটা ভোজপুর বলয়। তাই আজ বিহার সফরের দ্বিতীয় দিনে ভোজপুরের বাসিন্দাদের মন জিততে তৎপর রইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভোজপুর বলয়ের অন্তর্গত বিক্রমগঞ্জ, সাসারাম, আরার মতো এলাকায় একাধিক জনসভা ছাড়াও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস ও যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন মোদী, তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪৮,৫০০ কোটি। আজ সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা ছাড়াও ভোজপুরি ভাষায় বক্তব্য রাখার চেষ্টা এবং ভোজপুরি প্রবাদ বলে যথাসম্ভব স্থানীয়দের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মোদী।
আসন্ন বিহারের নির্বাচনে রাজ্যের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে অন্তত দু’শোটি আসনে জেতার লক্ষ্যে এগোচ্ছে এনডিএ। গত কয়েকটি ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, বারবার চেষ্টা করেও ভোজপুর এলাকায় দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। ভোজপুর ও পার্শ্ববর্তী মগধ অঞ্চলে ৫৫টি বিধানসভা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই ভোজপুরে বামেদের প্রভাবে ওই এলাকায় বিজেপি তো বটেই, কুড়ি বছর ক্ষমতায় থেকেও দাঁত ফোটাতে পারেনি নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ভোজপুর বলয়ের চারটি লোকসভার মধ্যে আরা ও কারাকাটে জয়ী হয়েছেন সিপিআই (এমএল) প্রার্থী। বাকি দু’টি কেন্দ্রের মধ্যে সাসারামে কংগ্রেস ও বক্সার কেন্দ্রে জিতেছে আরজেডি।
পাঁচ বছর আগের বিধানসভা ভোটে ভোজপুর-মগধ বলয়ের ৫৫টি আসনের মধ্যে মাত্র দশটিতে জিতেছিল এনডিএ। নাম না করে লালুপ্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির বিষয় তোলার পাশাপাশি আরজেডি-কংগ্রেস পরিকল্পিত ভাবে তফসিলি জাতি, জনজাতি, দলিতদের শোষণ করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলেও জানান তিনি। মোদী বলেন, ‘‘যাদের জন্য আপনারা বঞ্চিত ছিলেন, তারাই আবার ক্ষমতা দখলে জোট বেধেছে।’’
বিহারে গত দু’দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় নীতীশ। কেবল রাজ্যেই নয়, কেন্দ্রেও গত এগারো বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এনডিএ। ফলে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় ক্ষেত্রেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া রয়েছে, তা বুঝতে পারছেন মোদী। বিহারে যে একাধিক জেতা আসন এনডিএ প্রার্থীরা হারাতে চলেছেন, তা দলীয় সমীক্ষা থেকেই স্পষ্ট। সেই কারণে ভোজপুর-মগধ বলয়ে এ বার ভাল ফল করতেমরিয়া বিজেপি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)