Advertisement
E-Paper

ভারত-পাক মহড়ায় থাকবেন মোদীও

স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার এক সঙ্গে সামরিক মহড়ার দিতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী মাসে রাশিয়ায় উড়াল পর্বতের পাদদেশে এই মহড়া হতে চলেছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ওই মহড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৬
নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী। ছবি: ফাইল চিত্র।

স্বাধীনতার পরে এই প্রথমবার এক সঙ্গে সামরিক মহড়ার দিতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তান। আগামী মাসে রাশিয়ায় উড়াল পর্বতের পাদদেশে এই মহড়া হতে চলেছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ওই মহড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।

ভারত এবং পাকিস্তান দু’টি দেশই সম্প্রতি ইউরেশিয়ার ৮টি দেশের সংগঠন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিএ)-এর সদস্যপদ পেয়েছে। অগস্ট মাসের সামরিক মহড়া এসসিও-র উদ্যোগেই হতে চলেছে। তবে শুধুমাত্র ভারত ও পাকিস্তানই মহড়ায় যোগ দিচ্ছে— বিষয়টি এমন নয়। থাকবে এসসিও-র অন্যান্য সদস্য দেশের (ভারত, পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, কাজাকস্তানসহ পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্র) সেনারাও। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দুনিয়ার নজর থাকবে ভারত-পাকিস্তানের যৌথ মহড়ার দিকেই। কারণ, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষাবাহিনীতে একসঙ্গে কাজ করা ছাড়া এই দু’দেশ কখনও যৌথ সামরিক মহড়া দেয়নি। তাৎপর্যের বিষয় হল, অগস্টেই মহড়া শেষ হবে না। এসসিও-র নিয়ম অনুযায়ী, মহড়া হবে বছরে দু’বার।

তবে তৃতীয় দেশের মাটিতে পাক সেনার সঙ্গে মহড়া করলেই যে সম্পর্কে মধুর হবে, এমন দূরাশা সাউথ ব্লক করছে না। এসসিও-র উদ্যোগকে অবশ্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্র জানাচ্ছে, আফ-পাক এলাকা-সহ গোটা ইউরেশিয়ায় নিরাপত্তা ও জঙ্গি মোকাবিলার প্রশ্নে এসসিও সদস্যরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

এসসিও সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ চিন, ভারত-পাক মহড়া নিয়ে প্রকাশ্যে উত্তেজনা প্রকাশ করেছে। এই মহড়া নিয়ে সাউথ ব্লকের কোনও প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া না থাকলেও নড়েচড়ে বসেছে বেজিং! পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলা চিন, দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে অভিভাবকের ভূমিকা নিতে চায়। চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’ জানিয়েছে, যুযুধান দু’দেশের সেনা এক সঙ্গে মহড়া দিলে সংঘাতের পরিবেশ কিছুটা লঘু হতে পারে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই সামরিক মহড়ার থিম হল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমন্বয় ও সহযোগিতা গড়ে তোলা। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আস্থা বাড়ানো। চিনের কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের একাধিক ক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলি পুরনোও। কিন্তু এসসিও-র অধীনে এই মহড়ায় দু’দেশের সেনার মধ্যে ইতিবাচক যোগাযোগ তৈরি হতে পারে। এই ক্ষেত্রটিই এত দিন ছিল না।

Narendra Modi India Pakistan Military নরেন্দ্র মোদী Russia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy