E-Paper

আরজেডি-তৃণমূলের প্রশ্নের পরে ‘ছাড়’ নির্বাচন কমিশনের

বছরের শেষে বিহারে নির্বাচন। ওই রাজ্যে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জনে হাত দিয়েছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় নতুন ভোটারদের বিশেষ করে যাঁরা ১৯৮৭ সালের পরে জন্মেছেন, তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও জন্মতারিখ সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার শর্ত রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ০৭:২০
জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

বিহারের ভোটার তালিকা পরিমার্জন সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতে আজ মুখ খুলল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কয়েকটি বিরোধী দলের ধারাবাহিক প্রশ্নের মুখে আজ কমিশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালে বিহারে শেষ বার ভোটার তালিকার যে বিশেষ সার্বিক পরিমার্জন হয়েছিল, তাতে যে ৪.৯৬ কোটি ভোটারের নাম ছিল, তাঁদের কাউকে প্রমাণ সংক্রান্ত তথ্য নতুন করে জমা দিতে হবে না। তাঁদের সন্তানদেরও বাবা-মা সংক্রান্ত কোনও তথ্য জমা দেওয়ারপ্রয়োজন নেই।

বছরের শেষে বিহারে নির্বাচন। ওই রাজ্যে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ পরিমার্জনে হাত দিয়েছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় নতুন ভোটারদের বিশেষ করে যাঁরা ১৯৮৭ সালের পরে জন্মেছেন, তাঁদের বাবা-মায়ের জন্মস্থান ও জন্মতারিখ সংক্রান্ত তথ্য জমা দেওয়ার শর্ত রয়েছে। তৃণমূল, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিজেপি ঘুরপথে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) আনতে চাইছে আর সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে।

ওই দলগুলি নিয়মিত অভিযোগ করার পরে কমিশন আজ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বিহারের ভোটার ৭,৮৯,৬৯,৮৪৪ জন। যাঁদের মধ্যে ৪.৯৬ কোটির নাম ২০০৩ সালে বিশেষ ভাবে পরিমার্জিত তালিকায় রযেছে। তাঁরা বৈধ ভোটার। তাই কমিশনের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে বিশেষ (এনুমারেশন) ফর্ম দিচ্ছেন, তা পূরণ করে জমা দিলেই হবে। তাঁদের ক্ষেত্রে ওই ফর্মের সঙ্গে কোনও প্রমাণ্য নথি জমা দিতে হবে না।

আজ কমিশন জানিয়েছে, যাঁদের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা বাবা-মা সম্পর্কিত কোনও নথির পরিবর্তে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকার সাহায্য নিতে পারেন। যদি ২০০৩ সালের তালিকায় ওই ব্যক্তির বাবা-মায়ের নাম থাকে, তা হলে সেই ব্যক্তির ফর্মের সঙ্গে আলাদা নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ২০০৩ সালের তালিকায় বাবা বা মায়ের নাম যে রয়েছে, ফর্মে তাউল্লেখ করলেই হবে। কমিশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালের ওই ভোটার তালিকা বিহারের নির্বাচন সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটে রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি চাইলেই সেই তালিকায় নিজের নাম দেখে নিতে পারবেন। বুথ পর্যায়ের নির্বাচনী অফিসার, রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের কাছেও ওই তালিকা দেওয়া হচ্ছে। যাতে ভোটাররা নিজের নাম তালিকায় দেখে নিতে পারেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election Commission of India RJD TMC Bihar Assembly Election 2025

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy