Advertisement
E-Paper

ডোভালের আমন্ত্রণে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে

ডোভালের আমন্ত্রণে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কি না, হলেও কোন কোন বিষয় নিয়ে হবে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলেই।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৫০
(বাঁ দিকে) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

(বাঁ দিকে) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। —ফাইল চিত্র।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার আমন্ত্রণে নয়াদিল্লি আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী বুধবার (১৯ নভেম্বর) দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

আগামী বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারত মহাসাগরীয় এলাকার পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ‘কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ’-এর সম্মেলন হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধেই খলিলুরকে দিল্লি আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই দু’দিনের সফরে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদনে, ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে খলিলুরের দিল্লি সফরের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ঢাকার তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কি না, হলেও কোন কোন বিষয় নিয়ে হবে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সব মহলেই। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত, বৃহস্পতিবার কিছু ক্ষণের জন্য মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন ডোভাল এবং খলিলুর। ওই বৈঠকে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই নয়াদিল্লি এবং ঢাকার সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই সাক্ষাৎকারে রাজনাথ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও টানাপড়েন চায় না ভারত। তবে একই সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকেও নিজের কথাবার্তার সময়ে ‘সতর্ক’ থাকা পরামর্শ দেন তিনি। রাজনাথের ওই মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে দাবি করা হয়, রাজনাথের ওই মন্তব্য শিষ্টাচার এবং কূটনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্মানজনক নয়। তা ছাড়া, ভারতের একের পর এক সংবাদমাধ্যমে হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ নিয়েও অসন্তুষ্ট ঢাকা। এই আবহে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ভারত সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Bangladesh National Security Adviser
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy