Advertisement
E-Paper

‘লর্ড অফ ড্রাগস’ হাজি সেলিমের সাম্রাজ্যে হানা এনসিবির, ২০০০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত

২০১৫ সালে হাজির মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ওই বছরে কয়েক কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কেরল উপকূলে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:১৬
মাদক পাচার রুখতে অভিযান নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র (এনসিবি)। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাদক পাচার রুখতে অভিযান নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র (এনসিবি)। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তিনি ‘লর্ড অফ ড্রাগস’ নামে পরিচিত। এ বার তাঁরই মাদক সাম্রাজ্যে হানা দিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) বা দেশের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আর এই ‘লর্ড অফ ড্রাগস’ হলেন হাজি সেলিম ওরফে হাজি বালোচ। বিশ্ব জুড়ে তাঁর মাদকের জাল বিস্তৃত।

হাজি সেলিমকে ধরতে এবং তাঁর সাম্রাজ্য ভেঙে দিতে ‘অপারেশন সাগর মন্থন’ শুরু করেছে এনসিবি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশের পরই হাজি সেলিমকে ধরতে জোরদার অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চালাতে গিয়ে গুজরাতের পোরবন্দর থেকে শনিবার ২০০০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে এই বিপুল পরিমাণ মাদক ভারতে পাঠানো হয়েছে। এটাও সন্দেহ করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের ড্রাগ মাফিয়া হাজি সেলিমেরও হাত থাকতে পারে এই ঘটনায়।

হাজি সেলিমের মাদকের সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিতে তাঁর বিভিন্ন নেটওয়ার্কের উপর নজরদারিও শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন পাকিস্তানি গ্রেফতার হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, হাজি সেলিম বিশ্বের বড় মাদক কারবারিদের মধ্যে এক জন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপেও তাঁর মাদক কারবারের জাল বিস্তৃত। বিশাল নেটওয়ার্ক তাঁর। বেশ কয়েক বছর ধরে এনসিবি এবং পুলিশের নজরে রয়েছেন হাজি।

সূত্রের খবর, হাজির মাদক সিন্ডিকেট চলে ভারত, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপ-সহ বেশ কয়েকটি দেশে। শুধু ভারতই নয়, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ইরান, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, নিউ জ়িল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় রয়েছে হাজির নাম। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে যত মাদক কারবার চলে, তার মাথা হাজি। ২০১৫ সালে হাজির মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ওই বছরে কয়েক কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কেরল উপকূলে। তার পর গত আড়াই বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গেও হাজির ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে।

Drug Smuggling NCB
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy