বামেদের সঙ্গে জোট অটুট রাখার বার্তা আগেই দিয়েছেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। এ বার তৃণমূল-বিজেপি’র আঁতাঁত নিয়ে জোরালো প্রচারে যাওয়ার জন্যও বাংলার কংগ্রেস নেতাদের পরামর্শ দিলেন রাহুল। একই পথে হাঁটছে সিপিএমও।
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের গোপন সমঝোতা নিয়ে বাম এবং কংগ্রেস নেতারা আগে থেকেই সরব। বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করার পরে তাঁদের অভিযোগ আরও নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর এই আবহেই নতুন সংযোজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য। উমা বলেছেন, আরএসএস সাংগঠনিক ভাবে যে ভূমিকা পালন করেছে, তাতে তৃণমূলের সুবিধা হয়েছে। সঙ্ঘ ও বিজেপি-র সাহায্য ছাড়া তৃণমূল এই জায়গায় পৌঁছতে পারত না বলে মন্তব্য করেছেন উমা। আর খড়গপুরের বিধায়ক দিলীপবাবু বলেছেন, বাংলার রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতার বিকল্প নেই! বিকল্প তৈরি করায় নিজেদের ব্যর্থতাও কবুল করে নিয়েছেন তিনি। দুই নেতা-নেত্রীর এই জোড়া মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই মঙ্গলবার ফের নতুন উদ্যমে বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাঁতের বিরুদ্ধে মুখ
খুলেছেন কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব।
দিল্লিতে এ দিনই আব্দুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সিরা রাহুলের সঙ্গে দেখা করে ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এর আগে অধীর চৌধুরী, ওমপ্রকাশ মিশ্রদেরই রাহুল বলেছিলেন, জোট ধরে রাখতে হবে। এ বার বাংলার নেতাদের তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে মোদী তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করছেন। তাতে তৃণমূলেরই সংখ্যালঘু ভোট ধরে রাখতে সুবিধা হচ্ছে। আর দিল্লিতে দু’দলের বোঝাপড়া চলছে। বিধানসভা ভোটে বিভিন্ন আসনেও এই সমঝোতা স্পষ্ট। বাংলার নেতারা ভোটের পর থেকেই বলে আসছেন, তৃণমূলের ভোট না পেলে খড়গপুরে দিলীপবাবু জিততেন না। আবার বিজেপি-র ভোটের একাংশ তৃণমূলের বাক্সে না গেলে ভবানীপুরে মমতার জয়ের ব্যবধান কমতো। এ বার রাহুলও আঁতাঁতের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, বামেরা আর যা-ই হোক, বিজেপি-র সঙ্গে কোনও দিন যাবে না! বামেদের সঙ্গে নিয়েই এখন আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি, পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে মোদীর সরকারের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।