প্রতীকী ছবি।
দেশের দৈনিক সংক্রমণের ৬৮ শতাংশই হচ্ছে কেরলে। যদিও আগের থেকে সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু আগামী উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ বাড়তে না দেওয়া লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই আগামী অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
কেরলে সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও দেশের মধ্যে তা সবথেকে বেশি। সে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার। কেরল ছাড়া দেশের আর মাত্র পাঁচটি রাজ্যে সক্রিয় রোগী ১০ হাজারের বেশি। সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক এবং মিজোরাম। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব বলেছেন, ‘‘আমরা দেখেছি কেরলে আগের থেকে সংক্রমণ কমছে। বাকি রাজ্যগুলিতেও তা কমছে।’’
পুজোর মরসুমের থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন ভার্গব। তিনি বলেছেন, ‘‘উৎসবে মানুষের ভিড় বাড়ায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পলের গলায়। আগামী দু’-তিন মাস খুব গুরুত্বরৃপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়তে না দেওয়ার বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এ নিয়ে অনেক তথ্য আছে। সামনের মাসগুলি ভাইরাস এবং উৎসবের। তাই অক্টোবর এবং নভেম্বরে আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন।’’
তবে কেরলে একটু কমলেও মিজোরাম দিন দিন কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। প্রায় দিনই উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ দেড় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। তবে টিকাকরণে আরও গতি এলে মিজোরামে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন ভার্গব। দেশের ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy