Advertisement
E-Paper

এর পর সরাসরি পাক সেনা ও সরকারি পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হবে, শুধু জঙ্গিঘাঁটিতে নয়! তার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ বা অন্য নেতা-মন্ত্রীরা মুখে যা-ই বলুন, পাকিস্তানি রাষ্ট্র এখনও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করে চলেছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথাতেও তার আভাস মিলেছে।

সুব্রত সাহা, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১১:২৯

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ১২ মে রাতে জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা সকলেই শুনেছেন। তা নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ব্যাখ্যা যে যাঁর মতো করে করেছেন। কিন্তু দেশের সশস্ত্রবাহিনীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর ওই ভাষণ কোন বার্তা পৌঁছে দিয়েছে, তা কি জানেন? সৈনিকেরা কোন বার্তা পড়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কথা থেকে, তা কি জানেন? আমজনতার পক্ষে তা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই একজন সৈনিক তথা দেশের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন উপপ্রধান হিসেবে আমি কোন বার্তা পেয়েছি, এই লেখায় সেটাই লিখছি।

প্রথমত, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশ কী ভাবে লড়বে, প্রধানমন্ত্রী তার রূপরেখা স্পষ্ট ভাবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি ওই প্রসঙ্গে মূলত তিনটি কথা বলেছেন—

১. ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলাকে এ বার থেকে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে যে বার্তা গেল, তা এই রকম যে, ভারত এখন থেকে যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব দেওয়ার জন্য সদাপ্রস্তুত থাকবে। সেই জবাব দেওয়ার সময় সরকারি-বেসরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে আর ফারাক করা হবে না। যেখানে যখন আঘাত হানা উচিত মনে হবে, ভারত সেখানে তখনই আঘাত হানবে।

পাকিস্তান এখন চাপের মুখে দাঁড়িয়ে বার বার ‘শান্তি’র কথা বলছে। আলোচনার কথা বলছে। কিন্তু এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে, পাকিস্তান সত্যিই শান্তি চায়। সন্ত্রাসকে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা পাকিস্তান বন্ধ করবে না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ বা অন্য নেতা-মন্ত্রীরা মুখে যা-ই বলুন, পাকিস্তানি রাষ্ট্র এখনও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্যই করে চলেছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কথাতেও তার আভাস মিলেছে। ভুজের সামরিক ঘাঁটিতে গিয়ে তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন, তা থেকে জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের সরকার বহাওয়ালপুর ‘পুনর্গঠন’ করতে ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। বহাওয়ালপুরে পাকিস্তান কী ‘পুনর্গঠন’ করবে? ভারতীয় বাহিনীর ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ বহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সে সব ইমারতের ধ্বংসাবশেষ গোটা পৃথিবী দেখেছে। ওটা যে জইশের ঘাঁটি ছিল, তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ নেই। কারণ, জইশের প্রধান মাসুদ আজহার নিজেই স্বীকার করেছেন, ভারতের প্রত্যাঘাতে তাঁর পরিবারের কত জন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ কত জনের প্রাণ গিয়েছে। মাসুদের ঘাঁটিতে ভারতের আঘাতের জেরেই সে সব হয়েছে। বহাওয়ালপুরে অন্য কোনও কাঠামোয় ভারত আঘাত হানেনি। অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়নি। তা হলে বহাওয়ালপুরে পাকিস্তানের সরকার যদি ‘পুনর্গঠন’ করার নামে অর্থ বরাদ্দ করে, সে অর্থ কার কাছে যাচ্ছে, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

বস্তুত, ভারতীয় বাহিনীর কোনও কিছুই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। যে মুহূর্ত থেকে দেশের নতুন ‘সমরতত্ত্ব’ ঘোষিত হয়েছে, সেই মুহূর্ত থেকে ভারতীয় বাহিনী সারা বছর ধরে এক ভিন্ন স্তরের সতর্কতা তথা প্রস্তুতি রাখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা পাকিস্তান তথা আরও কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে আমাদের সক্ষমতার কিয়দংশ দেখিয়েছি। সব তাস এখনও দেখাইনি। তবে শুধু সে সবের ভরসায় থাকলেও চলবে না। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আরও বাড়াতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা এ বিষয়ে অন্য কোনও দেশের ভরসায় থাকব না। সামরিক বিষয়ে পুরোপুরি ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার দিকে দ্রুত এগোতে হবে।

সামরিক বিষয়ে ‘আত্মনির্ভর’ বা ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ’ হয়ে ওঠার গুরুত্ব আমরা আগেই বুঝেছি। বুঝেছি বলেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি বা নিজের তৈরি অস্ত্র সফল ভাবে আমাদের সহায় হয়েছে। ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ (উপ-সেনাপ্রধান) থাকাকালীন ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বিভিন্ন শহরে একের পর এক কর্মশালার আয়োজন করে আমি নিজেই এই কাজটা শুরু করে দিয়ে এসেছিলাম। যে সব শহর প্রযুক্তি তথা বিজ্ঞান গবেষণার পীঠস্থান, সেই সব শহরে কর্মশালা করেছিলাম। শিক্ষা এবং শিল্পের জগৎকে এক জায়গায় এনে আমরা কর্মশালাগুলো করতাম। আমরা কী চাইছি, বিজ্ঞানী তথা প্রযুক্তিবিদরা তাতে কী ভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারেন এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছোতে আমাদের দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি কী ভাবে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে, তার বিশদ পরিকল্পনা সেখানেই হয়ে যেত। কলকাতাতেও কর্মশালার আয়োজন করেছিলাম। তার ভাল ফলও পেয়েছিলাম। একটি কর্মশালায় বলেছিলাম, ‘‘ভারতকে যুদ্ধ জিততে গেলে ভারতীয় সমাধান খুঁজে বার করতে হবে। এ সব বিষয়ে বিদেশের উপরে নির্ভর করে থাকলে চলবে না।’’ এক কর্মশালায় এক শিল্পদ্যোগী বলেছিলেন, ‘‘আপনারা কী কী পরিকল্পনা করেছেন, সে সব তো আমরা সকলে জেনে গেলাম।’’ জবাবে বলেছিলাম, ‘‘আমাদের গোপন তথ্য বিদেশি শিল্পদ্যোগীরা জেনে নেবেন আর তার সমাধান খুঁজে বার করে সেটা আমাদেরই বিক্রি করবেন, তা আমি চাই না। তাই দেশের শিল্পদ্যোগীদেরই সব জানাচ্ছি এবং চাইছি যে আমাদের প্রয়োজনগুলো দেশীয় সংস্থাই মেটাক।’’ সে দিন সকলেই আমার মনোভাবের প্রশংসা করেছিলেন।

ওই কাজটা করতে করতেই ‘আর্মি ডিজ়াইন ব্যুরো’র জন্ম হয়। তার তত্ত্বাবধানেই বাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হয়। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রিকর এবং তদানীন্তন সেনাপ্রধান সে কাজে সহায়তা করেছিলেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ আমাদের বাহিনী যে সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে করে দেখিয়েছে, ‘আর্মি ডিজ়াইন ব্যুরো’র সৌজন্যেই বাহিনীকে সেই সক্ষমতায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমাদের বাহিনীর সদাপ্রস্তুত থাকার পরিকাঠামোও দ্রুতই বাড়বে।

২. প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোনও ‘পরমাণু শাসানি’তে আর কাজ হবে না। পাকিস্তানের ‘পরমাণু শাসানি’ ভারত এই প্রথম বার অগ্রাহ্য করল তা নয়। ১৯৯৯ সালে কার্গিলে, ২০১৬ সালে উরি হামলার পরে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পরে এবং ২০২৫ সালে পহেলগাঁও হামলার পরে পাকিস্তানের ‘পরমাণু শাসানি’ উপেক্ষা করেই ভারত আঘাত হানল। কিন্তু আগের তিনটি আঘাত আর এ বারের আঘাতের মধ্যে ফারাক রয়েছে। এ বার আমরা আঘাত করেছি পাকিস্তানের অনেক গভীরে। পাকিস্তানের যে সব সামরিক ঘাঁটিতে আমরা আঘাত হেনেছি, তার মধ্যে চকলালা (নুর খান, ইসলামাবাদ) এবং সরগোধার মতো অত্যন্ত ‘সংবেদনশীল’ পরিকাঠামোও রয়েছে। কেন এগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল, তা নিয়ে অনেকে অনেক কথাই শুনেছেন। আমি এই প্রসঙ্গে আর বিশদ কিছু লিখছি না। শুধু জানিয়ে রাখছি, ভারতের আক্রমণের মোকাবিলা করতে না পেরে শাহবাজ় শরিফ পাকিস্তানের পরমাণু কমান্ড কর্তৃপক্ষের বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠক আচমকা বাতিল করে দিতে হয়। তার পরে ঘটনাক্রম এমন দাঁড়ায় যে, পাকিস্তান সেনার ডিজিএমও ফোন করেন ভারতীয় বাহিনীর ডিজিএমও-কে। সেই ফোনেই পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেয়।

গোটা বিশ্ব যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র থাকা আদৌ নিরাপদ কি না, আরও একবার সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সেই আলোচনায় কিছুটা অক্সিজেনও জুগিয়েছেন। সংঘর্ষবিরতি ঘোষিত হওয়ার পরে শ্রীনগরে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের ব্যবস্থাপনা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করার প্রশ্নে পাকিস্তানের মতো একটা দেশের উপরে কি আমরা আদৌ বিশ্বাস রাখতে পারি?’’

এই প্রশ্ন রাজনাথই প্রথম তুললেন, তা নয়। আমেরিকাও এ বিষয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন। পশ্চিমি বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা প্রায় সকলেই উদ্বিগ্ন। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গিহানার পরে সেই উদ্বেগ প্রায় সব পশ্চিমি দেশগুলির নেতাদের গলায় শোনা গিয়েছিল। চকলালা বা সরগোধা কতটা অরক্ষিত, তা প্রমাণ করার পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও একবার পৃথিবীকে সে কথা মনে করিয়ে দিলেন। ভারত গোটা বিশ্বকে বার্তা দিল যে, যারা সন্ত্রাসকে প্রত্যক্ষ ভাবে জল-হাওয়া-খাবার জোগায়, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। যে দেশের সেনাবাহিনী প্রকৃতপক্ষে সামরিক পোশাকে থাকা জিহাদি বাহিনী, তাদের বিশ্বাস করা যায় না।

দ্বিতীয়ত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এ বার স্পষ্ট ভাবে লশকর-এ-ত্যায়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদের নাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গিহানা বা লন্ডন টিউবে বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তে এই সব বড় বড় সন্ত্রাসবাদী নাশকতা যারা ঘটায়, তারা সবাই যে পাকিস্তানে লশকর বা জইশের কারখানাতেই তৈরি হয়, সে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদী পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি ১২ মে শুধু জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেননি। গোটা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের যে বিশ্বব্যাপী জাল, তার বিরুদ্ধে ভারত এই মুহূর্তে সামনে দাঁড়িয়ে লড়ছে। পৃথিবী থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করার বার্তা পশ্চিমি বিশ্বের নেতারা খুব আড়ম্বরের সঙ্গে দিয়ে থাকেন। কিন্তু সন্ত্রাসের সদর দফতরে আঘাতটা যে ভারতই হানছে, গোটা বিশ্বের হয়ে এই মুহূর্তে ভারতই যে লড়ছে, সে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাষণে স্পষ্ট ছিল।

তৃতীয়ত: পাকিস্তানের যে ‘অপপ্রচার নেটওয়ার্ক’ সারা ক্ষণ বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই অভিযানে নেমেছেন। ১৯৬৫ সাল থেকে আমরা দেখে আসছি, যুদ্ধের ফলাফল যা-ই হোক, অপপ্রচারের যুদ্ধে পাকিস্তান সব সময় এগিয়ে থাকে। সেই অপপ্রচারকে পরাস্ত করার যুদ্ধে এ বার ভারতের হয়ে নেতৃত্ব দিতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, তারা আমাদের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। পাকিস্তান ভাবতে পারেনি, সংঘর্ষবিরতির পরের সকালেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি আদমপুরে হাজির হয়ে যাবেন! প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেলেন এবং এমন ভাবে তাঁর কর্মসূচি দেখানোর ব্যবস্থা করলেন, যাতে ওই বিমানঘাঁটির বিস্তীর্ণ এলাকা প্রত্যেকে দেখতে পান। কোথাও আদৌ কোনও ধ্বংসের চিহ্ন যে নেই, তা-ও যাতে স্পষ্ট বোঝা যায়। এবং প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পিছনেই সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা এস-৪০০ ব্যাটারিকেও যাতে স্পষ্ট দেখা যায়।

এই ভারত সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসের মদতদাতাদের সামনে মাথা নত করার ভারত নয়। শুধু জঙ্গিরা শত্রু, পাকিস্তান শত্রু নয়— এমন কোনও তত্ত্বে ভারত আর বিশ্বাস রাখছে না। প্রধানমন্ত্রী এই কথাটাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন। অর্থাৎ, এর পরে ভারতে আর কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে শুধুমাত্র সন্ত্রাসের পরিকাঠামোয় আঘাত হানার মধ্যে ভারত সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাকিস্তান যেহেতু রাষ্ট্র হিসেবে সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, সেহেতু পরবর্তী আঘাত সরাসরি পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামোর উপরেই হবে। পাকিস্তানের সরকারি পরিকাঠামোর উপরেও হবে। সন্ত্রাস এবং পাকিস্তান যে সমার্থক, এই কথাটা আরও জোর দিয়ে গোটা বিশ্বের সামনে প্রতিষ্ঠা করা এই মুহূর্তে ভারতের প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল এক জায়গায় এসেছে। গোটা পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে এই সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল বোঝাবে, পাকিস্তান একটা সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। এই বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সেই ফাঁকে আমাদের বাহিনীকেও আটঘাট বেঁধে নিতে দিন। তার পরে দেখবেন, সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো পাকিস্তানের কাছে কতটা ‘ব্যয়সাপেক্ষ’ হয়ে উঠেছে।

Indo-Pak Tension Pak Sponsored terrorism Pahalgam Indian Army Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy