এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। —প্রতীকী ছবি।
ব্রিটিশ আমলে বন্দি বিপ্লবীদের অনেককেই আন্দামানের সেলুলার জেলে পাঠিয়ে দিত সরকার। এ বার বেশ কিছু কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে আন্দামানে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখল এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)।
রবিবার লেখা ওই চিঠিতে এনআইএ বলেছে, দিল্লির তিহাড় জেল থেকে ১০-১২ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আন্দামানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। এর আগেও তাদের সরানোর ব্যাপারে চিঠি লিখেছিল এনআইএ। উত্তর ভারতের জেল থেকে দক্ষিণ ভারতের জেলে পাঠানোর অনুরোধ করেছিল তারা। কিন্তু এক রাজ্যের বন্দি অন্য রাজ্যে পাঠাতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ যেহেতু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, সেখানে আগাম অনুমতির ব্যাপার নেই। সেই কারণেই ওই বন্দিদের আন্দামানে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে এনআইএ যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে ২৫ জন গ্যাংস্টারকে উত্তর ভারতের জেল থেকে সরানোর কথা বলা হয়েছিল। তার মধ্যে নাম ছিল লরেন্স বিশনোইয়েরও। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসাওয়ালা খুনে প্রধান অভিযুক্ত সে। একই ধরনের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষও। জেলের মধ্যে গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া খুন হওয়ার পরেই জেলের তরফ থেকে চিঠি লিখে অনুরোধ করা হয়, কিছু কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে ওই জেল থেকে সরানো হোক। নচেৎ তারা জেলের মধ্যে বসেই গ্যাং চালাচ্ছে। তিল্লুকে খুনে যেমন অভিযোগের আঙুল তার প্রতিদ্বন্দ্বী গোগি গ্যাংয়ের সদস্যদের দিকে। তিহাড় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তিহাড়ে মোট ১৬টি সংশোধনাগার আছে। তাতে ১০ হাজার বন্দি থাকার কথা। কিন্তু আছে ২০ হাজার বন্দি। সেটা নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে মন্ত্রককে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy