Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National news

ফের আক্রান্ত নাইজিরীয়, বেঁধে বেধড়ক মার জনতার

পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকটির নাম বুন্দুকি সালিমা রাচেট। সে নাইজিরিয়ার বাসিন্দা। পুণের ভারতী বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ছে।

আক্রান্ত নাইজেরীয় যুবক। পুলিশ তখনও এসে পৌঁছয়নি। চলছে মারধর। ছবি :সংগ্রহ।

আক্রান্ত নাইজেরীয় যুবক। পুলিশ তখনও এসে পৌঁছয়নি। চলছে মারধর। ছবি :সংগ্রহ।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ১৭:২৮
Share: Save:

রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়েছিল ছেলেটি। আচমকাই নাকি তার ভাবমূর্তিতে বদল আসে। শান্ত থেকে হিংস্র হয়ে যায়। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। মারধর শুরু করে পথচারীদের। তাকে বাগে আনতে শেষমেশ তার উপর চড়াও হয় জনতা। পোস্টের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয় ছেলেটিকে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকটির নাম বুন্দুকি সালিমা রাচেট। সে নাইজিরিয়ার বাসিন্দা। পুণের ভারতী বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন: সেক্স ভিডিও কাণ্ডে তদন্ত করবে সিবিআই, জানালো ছত্তীসগঢ় সরকার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার দিন ওই যুবক আচমকাই হিংস্র হয়ে ওঠে। প্রথমে সে নিজের পকেট থেকে মোবাইল ফোন বার করে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। আর তার পরই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলে। এক পথচারীকে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে। নিজের জামা-কাপড়ও খুলে ফেলে। তার এরকম ব্যবহার দেখে পথচারীদের সকলেই ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। রাস্তা থেকে সে বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশ করে। বাসস্ট্যান্ডে অনেক মহিলা ছিলেন। তাঁদের দিকে ওই যুবককে এগিয়ে যেতে দেখেই প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে বাধা দেয়। কিন্তু প্রচণ্ড শক্তিতে ওই নাইজিরিয় যুবককে ধরে রাখা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই তাকে বাসস্ট্যান্ডে বেঁধে রাখা হয়। সেখানেই ক্ষিপ্ত জনতা তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

উদ্ধারের পর ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

তবে এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নাইজিরীয়দের মাঝে মাঝেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্তের খবর শিরোনামে আসে। দিল্লি এবং পুনেতে নাইজিরীয় আক্রান্তের খবর অনেক বেশি শোনা যায়। কিছু দিন আগেই এই নিয়ে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় নাইজিরীয়রা। তার পর ভারতীয় দূতকে তলব করে হামলার কারণ জানতে চেয়েছিল নাইজিরীয় বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজও হামলার নিন্দা করে তদন্তের আশ্বাস দেন। কিন্তু তার পরও যে পরিস্থিতির এতটুকু বদল হয়নি। এই ঘটনা তা ফের প্রমাণ করল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nigeria Pune নাইজিরিয়া
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE