অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়ে দফতরে নির্মলা। পিটিআই
নর্থ ব্লকের দোতলার এক কোণে অর্থমন্ত্রীর টেবিলে তিনি বৈঠকে বসেছেন আগেও। তখন তিনি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রতিমন্ত্রী।
আজ সেই অরুণ জেটলির ছেড়ে যাওয়া চেয়ারেই বসলেন নির্মলা সীতারামন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে নরেন্দ্র মোদীর নতুন সরকারে তিনি এলেন অর্থমন্ত্রীর পদে। সাউথ ব্লক থেকে নর্থ ব্লকে। তবে দেশের প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতো এ বারও দেশের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড বইয়ে জায়গা অধরাই রয়ে গেল নির্মলার। সে বারও তাঁর বাধা ছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। এ বারও তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা কিছু সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিজের হাতে রেখেছিলেন। একই ভাবে ১৯৭০-৭১-এ অর্থ মন্ত্রকও ইন্দিরা নিজের হাতে রেখেছিলেন। তবে প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতো প্রথম পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নির্মলার নাম রেকর্ড বইয়ে উঠে গেল অবশ্যই।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ নির্মলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘ফ্রি থিঙ্কার’ নামে ছাত্র সংগঠন করতেন। সেখান থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি। এক সময় লন্ডনে ঘর সাজানোর সামগ্রীর দোকান হ্যাবিট্যাট-এ সেলসগার্ল হিসেবে কাজ করেছেন। লন্ডনে থাকার সময়ই প্রাইস ওয়াটার হাউসে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন। একই ভাবে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে দিল্লিতে কাজ শুরু করে অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁর পদোন্নতিও রূপকথার থেকে কম নয়।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে অবশ্য নির্মলার সামনে রূপকথা নয়, বাস্তবের রুক্ষ চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ৫ জুলাই বাজেট পেশ করবেন নির্মলা। সেখানে রাজকোষ ঘাটতি লাগামের মধ্যে রেখে বেসরকারি লগ্নিতে জোয়ার আনতে দাওয়াই দেওয়াই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে নির্মলার সামনে। অর্থ মন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রক সামলানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে নির্মলার ঝুলিতে।
ভোটের আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নির্মলার পরীক্ষা ছিল, রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দেওয়া। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, অর্থনীতির অধোগতি সামলানো। নির্মলার দায়িত্ব নেওয়ার দিনেই প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, বৃদ্ধির হার গত ৫ বছরে সর্বনিম্ন। একই ভাবে বেকারির হারও যে মাথা ব্যথার কারণ, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দায়িত্ব নিয়েই আজ তাই সচিবদের সঙ্গে এক দফা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন নির্মলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy