Advertisement
E-Paper

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: দিল্লি আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

গত ১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে এখনই হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালত জানিয়েছিল, এই মামালায় তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে দায়ের করা অভিযোগে ত্রুটি রয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:২০
(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

গত ১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেসনেত্রী সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে এখনই হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালত জানিয়েছিল, এই মামালায় তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে দায়ের করা অভিযোগে ত্রুটি রয়েছে। দিল্লির আদালতের বিশেষ বিচারক বিশাল গোনগে জানান, ইডির আবেদন ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। কোনও এফআইআরের ভিত্তিতে নয়।

এ বার আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছে ইডি। তারা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার হাইকোর্টে ইডি জানায়, দিল্লি আদালত তাদের চার্জশিট গ্রহণ না করে ঠিক করেনি। আদালতে ইডি আরও জানায়, হেরাল্ড মামলাটিকে কেবল একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ হিসাবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেওয়ার সময় আদালত গুরুত্বপূর্ণ আইনি দিকগুলি উপেক্ষা করেছে।

গত মাসেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া, রাহুল, কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা-সহ কিছু সংস্থা, সংগঠন যেমন ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডটেক্স মার্চেন্ডাইস লিমিটেড, ডটেক্সের প্রোমোটার সুনীল ভাণ্ডারি বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই কথা উল্লেখ করেছে আদালত। এ-ও জানিয়েছে, অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত যথাযথ এফআইআর নথিভুক্ত না-হলে অর্থ পাচারের তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট মামলা বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে না। আদালত স্মরণ করেছে, পিএমএলএ-র বিধান অনুযায়ী, তদন্ত শুরুর আগে ইডি-কে একটি এফআইআর দায়ের করতে হবে। কিন্তু তা এখনও করা হয়নি তদন্তকারী সংস্থার তরফে। শুধু তা-ই নয়, এই মামলায় সিবিআই-ও এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। ইডি এফআইআর দায়ের না-করেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, যা আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ! আদালত জানিয়েছে, এই পর্যায়ে আদালত অভিযোগ সত্য না অসত্য, সে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করছে না। আইনি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।

জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

National Herald Case Rahul Gandhi Sonia Gandhi Congress ED Delhi High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy